মধুমাসে প্রচন্ড তাপদাহে দূরবিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাই তীব্র তাপদাহের মাঝে একটু স্বস্তি পেতে সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধুমাসের ফল তালের শাঁসের কদর বেড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন বিক্রি করছে তালের শাঁস। কোনো কোনো বিক্রেতারা ভ্যানযোগে পাড়া ও মহল্লায় ঘুরেও তাল শাঁস বিক্রি করছেন। উপজেলায় প্রায় কয়েক শতলোক তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কথা হয় শ্রীপুর চৌরাস্তার তালের শাঁস বিক্রেতা খলিলের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি বছর মধুমাসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারি দামে ক্রয় করে বিক্রি করে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে তালের ফলন ভালো হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিটি তাল শাঁস ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন তার পাঁচ থেকে সাতশত টাকা আয় হচ্ছে।
সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে পথচারি, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে ভিড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে। অনেক সৌখিন ক্রেতারা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য পীর (এক বোটা) হিসেবে তাল শাঁস ক্রয় করে বাড়ির অন্য সদস্যদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। দিনমজুর, অটোচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি বা পেশার লোকজনই মৌমুসী ফল তাল শাঁস ক্রয় করতে ভীড় করছেন বিক্রেতাদের কাছে।