প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কিন্তু সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি যথাযথ উদ্ভাবনী কর্ম পরিকল্পনা ও কার্যকর পর্যবেক্ষণেই এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। আজ সোমবার গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশন (জিইডি)। এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সকলে মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে ২০৩০’র আগেই নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব।
এসডিজি অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রদানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য নীতি সহায়তা এবং তহবিল প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। তবে আমাদের অবশ্যই তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরণ এবং তা যেন বাস্তবায়িত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এসডিজিকে কেবল একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হিসেবে গ্রহণ করেনি। বৈশ্বিক এ লক্ষ্যমাত্রাকে দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় নিজের উপযোগী করে তৈরি করার কার্যক্রম শুরু করেছে যা এসডিজি স্থানীয়করণ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় ১৭টি অভীষ্ট হতে ৩৯টি সূচককে বাংলাদেশের জন্য এসডিজি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে সঙ্গে প্রতিটি জেলার বাস্তবতা বিবেচনায় ১টি করে অতিরিক্ত সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, আশা করা যায়, এ অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরে দ্রুত সফলতার সঙ্গে এসডিজি পরিবীক্ষণ এবং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশের চলমান উন্নয়নের গতিও ত্বরান্বিত হবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি