অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন’ সাহেব কবে আমাদের দেশে এসে রেলভ্রমণ করে গেলেন তা আমরা কেউ জানলাম না, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে ‘বাইডেন’ সাহেব এসে রেলে উঠলে সেটাও হয়তো কেউ জানতে পারব না। প্রয়াত জর্জ ওয়াশিংটন বা উইন্সটন চার্চিল টিকিট কাটলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। ফান করলাম।
তিনি আরও লিখেন, কিন্তু সরকারি সিস্টেমে ফান করার কোনো অবকাশ নেই। জগতের কোথাও পাসপোর্ট কিংবা অথরিটি কর্তৃক ভেরিফায়েড নাম ছাড়া অন্য নামে রেল টিকিট করতে পারবে না। কারণ টিকিট করার সময় সিস্টেম তা যথাযথভাবে যাচাই করেই তবে টিকিট ইস্যু করবে। ভারতে রেল টিকিট করার আগে বিশাল এক ফরম পূরণ করতে হয় বলে জানি। জগৎজুড়ে কেন এত কঠিন সিস্টেম?
‘কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে যাত্রীর পরিচয় বের করা যায়। কোনো ধরনের নাশকতায় যাতে জড়িত যাত্রীকে শনাক্ত করা যায়। এ ছাড়া আরো অনেক কারণ আছে। আমাদের রেল অনলাইন ডাটাবেইস করছে কোনো রকম ভেরিফিকেশন ছাড়াই। যাত্রীকে তার নাম ও এনআইডি নম্বর দিয়ে রেল সার্ভারে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু তা এনআইডি সার্ভার ভেরিফিকেশন ছাড়াই।’
‘এনআইডি সার্ভারের সাথে রেল হুক-আপ করেনি। ফলে যাত্রী রেলে রেজিস্ট্রেশন করার সময় যেকোনো নাম এবং ১৩ বা ১৭ ডিজিটের যেকোনো সংখ্যা বসিয়ে রেজিঃ করে টিকিট করতে পারে। যেমন ‘১১১১১১….’ বা ‘২২২৩৩৩৩৩…..’। জর্জ বাইডেন বা ভ্লাদিমি চার্চিল, যে নামই দিন, রেজিস্ট্রেশন হয়ে রেল টিকিট কাটতে পারবেন।’
মাহবুব কবীর মিলন আরও লিখেন, ভয়াবহ ব্যাপার দুটি। এক, যেকোনো নাম ও এনআইডি সংখ্যা বসিয়ে বিপদ ঘটানো। দুই, আপনার অরিজিনাল নাম ও এনআইডি নম্বর যদি কেউ জানে, সে সেটা ব্যবহার করে টিকিট কেটে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। এনআইডি সার্ভার হুক-আপ না করে আন্দাজে এনআইডি নম্বর ও নাম দিয়ে কোনো ডাটাবেইস তৈরি করে সেটা ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার সিস্টেম চালু করার কোনো অবকাশ কোনো সরকারি দপ্তরের হতেই পারে না। রেলে সাড়ে তিন মাস থাকাকালে প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিলাম নির্বাচন কমিশন সার্ভারের সাথে রেলের হুক-আপ করানোর জন্য। সিএনএসবিডি আমার অনুরোধে সফটওয়্যারসহ সব কিছু রেডি করে ফেলেছিল। আফসোস! রেলের কোনো সাড়া পাইনি।
আনন্দবাজার/টি এস পি