মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ইর। বিভিন্ন খাল, বিল, নদীনালা ও জলাশয়ে এসব নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির ডিমওলা মা মাছ ও পোনা। উপজেলার শ্রীনগর বাজার কবুতরহাটা, ভাগ্যকুল বাজার, নতুন বাজার, বাড়ৈখালী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারগুলোর হাটের তারিখে এসব নিষিদ্ধ জাল কেনাবেচা হতে দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ অঞ্চলে পদ্মা নদীর বিভিন্ন শাখা খাল ও গুরুত্বপূর্ণ খালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অসাধু মৎস্যজীবি অবৈধভাবে মা মাছ নিধন করছে। নিষিদ্ধ জালের পাশাপাশি টেঁটা, বাঁশের চাই ও ঝাকি জালও বিক্র করতে দেখা গেছে।
মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন ১৯৫০’র বিধি-৭ অনুযায়ী বছরের ১লা এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশি প্রজাতির শোল, টাকি, গজারসহ অন্যান্য মাছের পোনা ও মা মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও এখানে কেউই আইনের তোয়াক্কা করছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালে ও বিলে জোয়ারের পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই মা মাছ ও পোনা নিধনের জন্য এসব নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছেন। ভাগ্যকুল, বাঘড়া, গাদিঘাট, বাড়ৈখালী, আলমপুর ও আড়িয়াল বিল এলাকার বিভিন্ন খালে নিষিদ্ধ জালে এসব মাছ নিধন করতে দেখা গেছে। এছাড়া এরই মধ্যে এসব এলাকার কয়েক স্থানে অবৈধভাবে ভেসাল বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অসাধু মৎস্য শিকারীরা। সতেচন মহল মনে করেন, নানা কারণেই দিনদিন দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। বছরের এ সময়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়াইর দিয়ে যে ভাবে মা মাছ ও পোনা নিধন করা হয়। এগুলো বন্ধ না হলে কালের বিবর্তণে দেশিজাতের এসব মাছ এক সময় হারিয়ে যাবে।
এ ব্যাপরে শ্রীনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাক জানান, এসব নিষিদ্ধ জাল ক্রয় বিক্রয় করা দন্ডনীয় অপরাধ। মৎস্য অভিযানের আওতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।