তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। বিএনপির জন্ম পেছনের দরজা দিয়ে, তারপরও আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে মা দিবস উপলক্ষে ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবেই দলের সম্মেলন হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাই।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয় এবং নির্বাচনকালে সরকারের সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যাস্ত হয়। নির্দলীয় সরকার বিষয়ে বিএনপির দাবি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এই ভীতির ফলে তারা যে কেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করলো না, সেটিই অনেকের প্রশ্ন।
মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের নিচে দেখানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আফগানিস্তানে যেখানে টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনের কারণে নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়, যেখানে সাংবাদিকরা কোনভাবেই কাজ করতে পারে না, সেই আফগানিস্তানের নিচে বাংলাদেশের অবস্থান দেওয়ার মাধ্যমে আরএসএফ নিজেরাই প্রমাণ করেছে যে, তারা বিদ্বেষপ্রসূত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব মা দিবসে সকল মায়েদের প্রতি এবং বাবাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি আলোকিত জাতি গঠন করতে আলোকিত মা প্রয়োজন। মা-বাবার ভরণপোষণ না যদি না করা হয়, তাহলে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন করা হয়েছে। সে আইনের সুযোগ নিয়ে মামলাও করেছে অনেকে।
