‘কলাবাগান খেলার মাঠ’ ঘিরে চলমান আন্দোলন একটি সামাজিক আন্দোলন, সমাজের সার্বিক বিকাশের জন্য উত্থাপিত দাবি, কোনো উদ্দেশ্য-প্রণোদিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেশের ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রেরিত বিবৃতিতে বলা হয়, শিশু-কিশোরদের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্য খেলার মাঠ অপরিহার্য। এ ধরনের সামাজিক ক্রীড়াস্থান ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যদের সন্তানরাও রাষ্ট্রের সুযোগ্য নাগরিক হিসাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়। মাঠ, পাঠাগার, ব্যায়ামাগার ইত্যাদি শিশু কিশোরদের সুস্থ নাগরিক বিকাশের প্রধান শর্ত।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার আলোকে আমরা আশা করবো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিশীঘ্র কলাবাগান থানার জন্য একটি বিকল্প স্থান খুঁজে নেবেন ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় থানা নির্মাণ করবেন।
আমরা এটাও মনে করি যে, রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার জন্য, নাগরিকদের দেখভাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ ও থানা রাষ্ট্রের অপরিহার্য অঙ্গ। তাই অত্র এলাকায় থানা ভবন নির্মাণের জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি জায়গা বরাদ্দের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।
খেলার মাঠ ঘিরে সামাজিক উদ্যোগ যেমন সবার সাধুবাদ দাবি করে, তেমনি আন্দোলনের সুযোগে কারো কারো উদ্দেশ্যমূলক তৎপরতা সম্পর্কে আমরা নাগরিকদের সতেন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ১. আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরি, ২. সৈয়দ হাসান ইমাম, ৩. অনুপম সেন, ৪. রামেন্দ মজুমদার, ৫. ফেরদৌসী মজুমদার, ৬. সারোওয়ার আলী, ৭. আবেদ খান, ৮. সেলিনা হোসেন, ৯. আবদুস সেলিম, ১০. লায়লা হাসান, ১১. মফিদুল হক, ১২. মামুনুর রশীদ, ১৩. শফি আহমেদ, ১৪. শাহরিয়ার কবীর, ১৫. মুনতাসীর মামুন, ১৬. নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ১৭. সারা যাকের, ১৮. শিমূল ইউসুফ ও ১৯. হারুণ হাবীব।
আনন্দবাজার/টি এস পি