সড়ক সংস্কার
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া এলাকায় প্রায় ২০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতে সড়কটি পুনরায় মেরামত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে এলাকাবাসি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি গত ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার পানির তোড়ে একাধিক স্থানে ভেঙ্গে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হলে প্রায় ২০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য সুজাউদ্দৌলা আবুল হোসেন, জব্বার মিয়া, শহিদুর রহমানসহ অনেকে বলেন, আদারভিটা, মুকুন্দবাড়ী, বীর শকুণা, চরশকুণা, কাহেতপাড়া, চারালীকান্দী, নাগেরপাড়া ও মাদারগঞ্জের গুনারীতলাসহ ২০ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে আসছিল। তবে ২০১৭ সালে বন্যায় সড়কটি ভেঙে প্রায় ৪টি স্থানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। তাই দীর্ঘ দিন থেকে এ অঞ্চলের মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিগত দিনে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে স্বেছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো মতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ রাস্তায় চলাচল করে আসছিল। কৃষিপণ্য মালামাল ক্রয়বিক্রয়ের জন্য সড়ক পথে যানবাহন চলাচল না করায় তিন কিলোমিটার ঘুরে ঘোষের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদসহ উপজেলা সদরে আসতে হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর অবশেষে এলাকাবাসির চাহিদার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (১ম পর্যায়ে) ইউপির চেয়ারম্যান ৪টি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এসব প্রকল্পর মধ্যে ৪৬নং প্রকল্পটি বংশী বেলতৈল ইলাহি মন্ডলের বাড়ি হতে চারালকান্দী বদিউজ্জামান চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ২০০ শ্রমিকের মাটির কাজের জন্য ৩২ লাখ টাকাসহ নন ওয়েজ কস্টের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ৪টি স্থানে বিশাল গর্তে মাটি কাটার কাজ যথাযথ বাস্তবায়ন হওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি আবারও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বর্তমানে রাস্তার চিত্র পাল্টে গেছে। সুফল পাচ্ছে কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত দরিদ্র শ্রমিকরাসহ প্রতিনিয়ত যাতায়াত কারি পথচারী।
এ বিষয়ে ঘোষেরপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, লাখো মানুষের যাতায়াতের জনগুরুত্বপূর্ণ একমাত্র রাস্তাটি চলাচলে অত্যান্ত অনুপযোগী ছিলো। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্প গ্রহন করে রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত দিনে সড়কটি ব্যন্যার পানির তোড়ে বিশাল কোরের সৃষ্টি হয়েছিল তাই রাস্তাটি জন গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে বরাদ্দ একটু বেশি দিয়ে হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি কেটে সড়কটি যানবাহন চলাচল উপযোগী করা হয়েছে বলে জানান।