বাজারে চুরি, ডাকাতি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে তৎপর ভূমিকায় রয়েছে পুলিশ-গোলাম মর্তুজা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা
গত ৩ বছরের লোকসান কাটিয়ে হবিগঞ্জে এবার জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে বাজারে বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে বেচাকেনা। এতে করে অর্থনীতিক ভাবে লাভবানের আশায় দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। হবিগঞ্জের বাজার গুলোতে বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের পদচারণায় বাজার এখন সরগরম।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে শহরের ঘাটিয়া বাজার এলাকায় দেখা যায়, দেশি বিদেশি বিভিন্ন বৈচিত্রময় পোষাকে ব্যবসায়িরা সাজিয়েছেন বিপণী বিতানগুলো। এ বছর নারী ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ভারতীয় বিভিন্ন গান ও সিনেমার নামের কাপড় ও থ্রি-পিস। বিশেষ করে নারী ক্রেতাদের শীর্ষে রয়েছে কাচা বাদাম, পুষ্পা, গারারা ও সারারা নামের কাপড় ও থ্রি-পিসের।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ- এ বছর কালেকশন ভালো থাকলেও দাম অন্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। যে কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পছন্দের কাপড় ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হবিগঞ্জের ঘাটিয়া বাজারের এসডি স্টোর, এসডি প্লাজা, এমবি প্লাজা, মধুমিতা, খাজা গার্ডেন সিটি, আশরাফ জাহানে রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ধুম বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়িদের।
এদিকে, গত কয়েকদিন পুরুষদের ঈদ বাজার মন্দা থাকলে এবার জমে উঠছে। পাঞ্জাবীর দোকান গুলোতে বাড়ছে তরুণদের ভীড়। তবে তরুণ ক্রেতাদের অভিযোগ পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবী ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এ বছর সেগুলো ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপড়ের সাথে তাল মিলিয়ে ভীড় জমেছে জুতার, প্রসাধনি ও গহনার দোকান গুলোতেও।
এসডি ষ্টোরের কর্মচারী অর্জুন রায় জানান, এই ঈদে সুতি টাঙ্গাইল শাড়ি, তাতের শাড়ি, সিল্ক শাড়ি থেকে অরগেঞ্জ ওকাঞ্জীবরন শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্য টাঙ্গাইল শাড়ি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা কাঞ্জীবরন শাড়ি ১১ থেকে ১২ হাজার ও অরগেঞ্জা শাড়ি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার মূল্য।
এ বছর ঈদে ছেলেদের মধ্যে পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের টাঙ্গাইল শাড়ির প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া সিনেমার নামে কাচা বাদাম, পুষ্পা, গারারা, সারারার চাহিদা রয়েছে। তরুন-তরুণীরা এসব পোষাক কিনতে ভীড় করছেন।
এসডি প্লাজা ম্যানাজার বিপুল রায় জানান, গত ৩ বছর করোনা থাকায় বাজার মন্দা ছিল। তবে এবার ক্রেতাদের আনাগুনা বেশি। যে কারণে অর্থনীতিক ভাবে এবার লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি (ব্যক্স)-এর সভাপতি মো. শামছুল হুদা জানান, বাজারে দিন দিন বাড়ছে বেচাকেনা। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা বাজার নিয়মিত দেখাশুনা করছেন। এবার ক্রেতাদের ভীড় থাকায়
বাজারগুলোতে চোর, পকেট মারের উপদ্রব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য ঈদের বাজারে আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, বাজার চুরি, ডাকাতি ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কঠোর ভূমিকা পালন করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্নস্থানে পুলিশের ১০টি টিম কাজ করছে। সাথে ডিবি ও ডিএসসি’র সদস্যরা রয়েছে।