ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসহায় পরিবারে পাশে গাইবান্ধার ডিসি

সাত বছর ধরে শেকলে বাধা প্রতিবন্ধি বাবা ও মেয়ের জন্য দুটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ডসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে তাদের বাড়িতে হাজির জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান। রবিবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার আনালেরতারি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান এ কার্ড দুটি তাদের অভিভাবক হালিমা বেগমের হাতে তুলে দেন।

গত ১৯ মার্চ গাইবান্ধা সদর উপজেলার আনালেরতাড়ি গ্রামে একই শিকলে বাধা প্রতিবন্ধি বাবা ও মেয়ে শেকলে বাঁধা-শিরোনামে একটি খবরে বিভিন্ন প্রত্রিকায় উঠে আসলে। খবরটি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমানের নজরে এলে তিনি প্রথমে দুজনকে শিকল মুক্ত করেন এবং সমাজসেবা বিভাগকে দুই প্রতিবন্ধির জন্য প্রতিবন্ধি কার্ড করার নির্দেশ দেন।

কার্ডের কাজ চুড়ান্ত হলে ২৪ এপ্রিল বিকেলে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান তাদের বাড়িতে গিয়ে দুই প্রতিবন্ধির হাতে দুটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড তুলে দেন। তারপর জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় তাদের চিকিৎসার জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল প্রতিবন্ধি দুজনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেন ।

কার্ড হাতে পেয়ে প্রতিবন্ধির অভিভাবক হালিমা বেগম খুশিতে বলেন, প্রতিবন্ধি হওয়ার পর বাবা মোহাম্মদ আলী ও মেয়ে টুলি বেগমকে ৭ বছর শেকলে বেধে রাখলাম। গ্রামবাসীর দুয়ারে দুয়ারে কাজ করে খাবার তুলে দিলাম।সবাই দেখলো ,দেখলো চেয়ারম্যান ও মেম্বররা। কিন্তু সমাজ সেবা বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের কোন সহযোগিতা করেনি।ডিসি স্যার হামাক ,ট্যাকা দিছে ,গাড়িত করি নিয়া গেছে চিকিৎসার জন্য। হামরা স্যারের জন্য দোয়া করি।

জেলা প্রশাসক মো.অলিউর রহমান বলেন,মানুষ মানুষের জন্য। অনেক আগেই তাদের চিকিৎসার দরকার ছিলো।কিন্তু আমরা জেনেছি বিলম্বে।সেজন্য দেরিতে হলেও তাদের জন্য চিকিৎসা,প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড সহ আর্থিক সহযোগিতা করতে পেয়ে আমি আত্বতৃপ্তি লাভ করছি এবং প্রধামন্ত্রীর লক্ষ উদ্যোশ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে পারলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন