ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি কারিগররা

ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি কারিগররা

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দর্জি কারিগররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। যেন দম ফেলবার ফুরসত নেই তাদের। বিগত দুই বছর করোনার কারনে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। চলতি বছর সকল ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা-সদর সুবিদখালী বাজারসহ পাড়া-মহল্লার সব দর্জির দোকানে পুরোদমে চলছে নতুন পোশাক তৈরির হিড়িক। সেই সঙ্গে দোকানের মেঝেতে রয়েছে কাপড়ের স্তুপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক। সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটার কাজও। উপজেলা সদর সুবিদখালী বাজারের বেশ কয়েকটি দর্জির দোকানে ঘুরে এমন ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। দর্জিদের দম ফেলার ফুসরত নেই।

ঈদ উৎসবকে ঘিরে শুধু যে নামি-মমি টেইলার্স হাইজ গুলোই যে ব্যস্ত সময় পার করছে তা নয়। ঈদকে সামনে রেখে পাড়া মহল্লার ছোট ছোট দর্জি দোকান গুলোতে এখন চলছে রাত দিনের ব্যস্ততা। গ্রামেও বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।

দর্জির দোকানিরা জানান, এখন ব্যস্ততাটা বেশিই, আমাদের দম ফেলার সময় নেই। তবে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকেই। শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, রমজানের ২২দিন পেরিয়ে গেলো। আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল ফিতর। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক (রেডিমেড) পড়তে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই উপজেলা সদরসহ ৬ টি ইউনিয়নের দর্জির দোকানে এখন ব্যস্ততা বেশি।

সুবিদখালী বাজারের সানসিটি টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর রমজানের শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই পোশাক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। তবে করোনার সংক্রমণ থাকায় গত ২ বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। যেহেতু এবার করোনা নেই তাই অনেক অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। নতুন অর্ডার নেয়া প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আশা করি গত দুই বছরের ঘাটতি এবছর পুষিয়ে উঠতে পারব।

সংবাদটি শেয়ার করুন