পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। এ উন্নয়নের পিছনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব রয়েছে। পিতার পর সন্তানের হাতে দেশ একই যত্নে লালিত-পালিত হচ্ছে। এতে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
আজ বুধবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শিজুওকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, জাপান আয়োজিত ‘লাঞ্চিং সিরমোনি অব মিউজিক বক্স’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাপান ও জাপানের জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর একটি জাপান। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় জাপান। পরদিনই দুই দেশ একে অন্যের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে। স্বাধীনতার ঠিক পরপরই বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতাকরে জাপান। প্রয়োজনের মুহূর্তে সেই সহায়তা বাংলাদেশের পুনর্গঠনকে অনেকখানি এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখে। জাপান সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধু হয়েই থাকবে।
এনামুল হক শামীম , বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়। তিনি হিমালয় সমান মহান। তার ব্যক্তিত্বে ছিল আকাশছোঁয়া উচ্চতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন, সাহসী, বজ্রকন্ঠের অবিসংবাদিত এ নেতাকে কেউ কেউ জর্জ ওয়াশিংটন ও মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে উঁচু আসনে স্থান দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যস্থান বিশ্বনেতাদের অনেকের কাছেই ছিল অপূরণীয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি তার ভাষণেই বলেছিলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষ; অন্যদিকে শোষণকারী। আমি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, তিনি সারাবিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন।
আনন্দবাজার/টি এস পি