ঢাকা | রবিবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করারোপে তামাকের দাম বৃদ্ধির দাবি

ফেসবুকে মানববন্ধন–

তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন (২০২২-২৩ অর্থবছর) বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় দেশব্যাপী ফেসবুকের মাধ্যমে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা এ সংক্রান্ত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেন। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, আসন্ন বাজেটে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, মধ্যম স্তরে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮ টাকা ৭৫ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে।

এই কর ও মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে ৪ লাখ ৪৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৪৮ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সরকারের ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।

ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১ টাকা ২৫ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (৬০ শতাংশ) আরোপ এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (৬০ শতাংশ) আরোপ করতে হবে। বিড়ি, জর্দা এবং গুলের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং এসব খাতে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।’

সংবাদটি শেয়ার করুন