দেশে নাগরায়নের পাশাপাশি উন্নয়নের অবকাঠামো পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্য সব সময়ই হুমকি হয়ে দেখা দেয়। বিশ্বের বহু দেশে পরিবেশ ঠিক রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়। অনেক সময় পরিবেশ রক্ষায় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাতিলও করা হয়। কিংবা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সুরক্ষায় বিকল্প উপায় অবলম্বন করা হয়।
কখনও গাছ বাঁচাতে সড়ক কিংবা সেতু ভিন্ন দিকে সরিয়ে নেয়া হয়। কারণ গাছ শুধু মানুষের ছায়া কিংবা আসবাবপত্রের কাঠেরই যোগান দেয় না, প্রাণ বাঁচাতেও বড় ভূমিকা রাখে। অক্সিজেন সরবরাহ করে প্রাণীজগতকে সচল রাখে।
বিদেশের কথা বাদ দিলেও বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার অনেক দৃষ্টান্ত দেখা যায়। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা গহের আলী ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করলেও তিনি নিজ এলাকায় গাছ লাগিয়ে অবাক করে দিয়েছেন সবাইকে। শুধুমাত্র পথচারীদের ছায়ার আশায় স্থানীয় ভীমপুর ও বলিহার ইউনিয়ন জুড়ে ১২ হাজার তাল গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
অথচ দেশের খোদ রাজধানীতেই গাছের প্রাণ কেড়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বড় দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। ঢাকার মৎস্য ভবন ও রমনা পার্কের মুখে ১০-১২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছকে হত্যা করা হয়েছে শুধু ফুটওভারব্রিজ তৈরির জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মৎসভবনে তালগাছের মাথার ওপর দিয়ে ওভারব্রিজ নিয়ে গেছে। যেখানে তালগাছটি চাপা পড়েছে ব্রিজের নিচে। দৃশ্যটি দেখে অনেকেরই খুব খারাপ লাগে। বাসের এক প্রবীণ যাত্রী বলেন, তালগাছটি এতো বড় হতে সময় লেগেছে কমপক্ষে ১২ বছর। অথচ মাত্র কয়েকদিনেই সেটিকে মেরে ফেলা হলো।