শামীম মিয়া (২৫)। পেশায় ভ্যানচালক। ভ্যানচালিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চলে জীবন জীবিকা। কয়েক মাস আগে শামিম স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২টি ছাগল কিনে দেয় স্ত্রী হিমা আক্তারকে। সেখান থেকে একটি ছাগল বাচ্চা দেয় এবং অন্য একটি ছাগল ৪ মাসের গর্ভবতী। ছাগলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন শনিবার রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের শেষ সম্ভল তিনটি ছাগল আগুনে পুড়ে গেছে। এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় পরিবারটি। শামিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের পোড়াবাসা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ছাগলের ঘরে আগুন লাগে। পরে স্থানীয়ভাবে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে এর আগেই ঘরে থাকা প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহজাহান সিকদার বলেন, শামিমের পরিবারটি একদমই অসহায়। ভ্যানচালিয়ে সে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ১ বছরের একটি ছেলে আছে। কয়েকমাস আগে একটি এনজিও থেকে টাকা ঋণ তুলে ছাগল কিনেছিলেন শামিম। সেই ছাগলগুলো আগুনে পুড়ে গেলো। এতে ওই পরিবারটি চরম অসহায় হয়ে পড়লো।
শামিমের স্ত্রী হিমা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, গরিবরে কি আল্লায় দেখে না? কেনো এমন হলো? আমার সাথে তো কারো কোনো শত্রুতা নেই। তবে তার পরেও কিভাবে আগুন ধরলো? ছাগলগুলোই যে আমার শেষ সম্বল ছিলো। আমি এখন কি করবো? স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কিছু করা যায় কিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এব্যাপারে আবেদন করলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।