বর্জ্যে দূষিত সুতাং নদী
পরিবেশ ক্ষতিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে-ইশরাত জাহান, জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জ
দূষিত পানি শরীরে লেগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ- সুলতানা কামাল, সভাপতি, পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে গড়ে উঠা শিল্পকারখানার বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে সুতাং নদী। অব্যাহত শিল্পবর্জ্যের দূষণে নদীটি এখন মরতে বসেছে। নদীর পানি কালো বর্ণ ধারণ করেছে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। নদীর পাড় দিয়ে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে মৎস্যশূন্য হয়ে পড়েছে নদী।
বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন সুতাং নদীই ছিল জেলার চুনারুঘাট, সদর ও লাখাই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নবাসীর জীবন-জীবিকার মাধ্যম। দৈনন্দিন কাজে এ নদীর পানি ব্যবহারসহ এ নদী থেকে মাছ ধরেই চলত এলাকার মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। তবে গত এক যুগে অলিপুরে গড়ে উঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি এ নদীতে পড়ে নদীটি এখন মরতে বসেছে। বর্তমানে নদীর পানি প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করাতো দুরের কথা কোনো পশু-পাখিও পান করতে পারে না। কুচকুচে কালো দূষিত পানিতে মরে ভেসে উঠছে মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী। এ নদীটি এখন ওইসব এলাকার মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, পরিবেশবাদীরা মনে করছেন পরিবেশের এবং মানুষের ক্ষতি করে উন্নয়ন নয়, কারণ উন্নয়ন হয় মানুষের জন্য। মানুষের ভালোর জন্য উন্নয়ন করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সভাপতি সুলতানা কামাল জানান, নদীর কাছ দিয়ে দূর্গন্ধের কারণে যাওয়া যায়না। এ নদীর পানি স্থানীয়দের শরীরে লেগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, জনবল সংকটের কারণে সবদিকে নজর দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, সুতাং নদীর বিষয়ে অবগত আছি। পরিবেশ ক্ষতিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।