বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, প্রত্যেক দোকানে পণ্যমূল্যের তালিকা রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা দামের তালিকা না টাঙালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন মন্ত্রী।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ইউরোপ-আমেরিকায় ক্রিসমাসে আর ভারতে দুর্গোৎসব ঘিরে সব পণ্যে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি তুলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেই পবিত্র রমজান মাস এলে সবকিছুর দাম বাড়াতে একটি চক্র উঠে পড়ে লাগে। যারা এই রমজান মাসকে ব্যবহার করে সুযোগ নেয়, আল্লাহ তাদের মাফ করবে না।
প্রত্যেক দোকানে দামের লিষ্ট থাকতে হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা বাজারে এলে দাম কমিয়ে দেন আর চলে গেলে আবার বাড়িয়ে দেন এগুলো চলবে না। প্রত্যেকটা দোকানে দামের লিষ্ট থাকতে হবে। আজকে কয়েকটা দোকানে দামের লিষ্ট পেলেও অধিকাংশ দোকানে পাইনি। এরপর থেকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দামের লিষ্ট যে দোকানে না পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ভোক্তা অধিকারকে এ বিষয়ে কঠোর হতে বলে যাব।
চাঁদাবাজির কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ওপর প্রভাব পরছে কি-না প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব। আমরা সরাসরি এমন কিছু এখনো দেখিনি। তবে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে আর আপনারা তা দেখেন, তাহলে আমি আমার নাম্বার দিয়ে যাব আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরও বলেন, ভোররাতে ট্রাকে মনিটরিং বাড়ানো হবে। ট্রাকে মনিটরিং বাড়ালেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কারণ, ট্রাক থেকে ভোররাতে মাল নামানোর সময়ই এর সাথে জড়িত কিছু চক্র অনৈতিক ভাবে অর্থ হাতিয়ে থাকে। এর প্রভাব পড়ে পণ্যের ওপর।
তেলের দাম কমবে আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে তেল ঢুকছে। ইতোমধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন তেল ঢুকেছে দেশে। আশাকরি তেলের দাম আরো কমবে। সবাই মিলে কাজ করতে হবে একসাথে। তাহলে ভালো কিছু অবশ্যই হবে।
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে তেলের দাম ১৮০ টাকা থেকে ১০ শতাংশ ভ্যাট ছাড় দিয়ে ১৬০-১৬৫ এর মধ্যে আনা হয়েছে। তেলের দাম নিয়ে আমাদের চিন্তা বেশি ছিল। সেটা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ আছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি