ঢাকা | রবিবার
৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার পর্যটনে মহাপরিকল্পনা

কুমিল্লার পর্যটনে মহাপরিকল্পনা
  • অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন-দৃষ্টিনন্দন স্থানসমূহ
  • পর্যটন অংশীজনদের সমন্বয়ে ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন সভা

পর্যটন মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন স্পটসমূহ। বাংলাদেশ পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নেরর লক্ষ্যে কুমিল্লায় সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি পর্যটন অংশীজনদের সমন্বয়ে ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পর্যায়ে এ ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-দলনেতা ড. নূরুল ইসলাম নাজেম, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. আলী হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ, সাবেক কালচারাল অফিসার বশিরুল আনোয়ার, প্রবীন সাংবাদিক অশোক বডুয়া এবং ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ পাঁচজন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেন দলনেতা বেঞ্জামিন কেরি, আঞ্চলিক পরিকল্পনাবিদ ওমর খান এবং মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ প্রিয়ান্থা ফার্নান্দেজ, সিনিয়র নগর পরিকল্পনাবিদ সামাউন-আল-নূর, নগর পরিকল্পনাবিদ সারোয়ার হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহজাহান চৌধূরী, উদীচির সভাপতি শেখ ফরিদ, কুমিল্লা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সভাপতি নাসিরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।

ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুলসহ অন্যান্য আলোচকগণ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন স্পটসমূহকে বাংলাদেশ পর্যটন মহাপরিকল্পনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করণের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত কবি তীর্থ দৌলতপুর, বাংলা ভাষার অবিসংবাদিত নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার বাড়ি এবং মুরাদনগরের বাংগরা ওমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় ও বাংগরা জমিদার বাড়ি, কুমিল্লা শহরে অবস্থিত উপমহাদেশের প্রাচীন ব্যাংক ভবন, ব্রাহ্মণপাড়াস্থ নাগাইশ গ্রামের মেজর গণির বাড়ি, মুরাদনগরের শ্রীকাইল কলেজ, লালমাইয়ের আদিনা মুড়া, পাঁচথুবী ইউনিয়নের প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাসমূহ এবং নবীনগরে সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের মসজিদটি পর্যটন মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করণের প্রস্তাব করেন ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন আয়োজন করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন