বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর বাংলাদেশের হজযাত্রীগণ হজে গমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে রাজকীয় সৌদি সরকার সহসাই ডিক্রি জারি করবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতে হজে গমণের সুযোগ তৈরি হলে সন্মানিত হজযাত্রীগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পারেন এ বিষয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, পূর্বের যেকোন হজের চেয়ে আগামী হজকে আরও উন্নত, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে বাংলাদেশ হজ অফিস আশকোনা, ঢাকার সভাকক্ষে পবিত্র হজ ১৪৪৩ হিজরি/২০২২ খ্রি. সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা ও সংগঠনের অংশীজনের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হতে কত সংখ্যক হজযাত্রী হজে গমণ করতে পারবেন বিষয়টি সৌদি-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তিতে নির্ধারিত হবে।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ বছর বাংলাদেশের পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বে যারা হজের নিবন্ধন করেছেন তারাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে গমণ করতে পারবেন। কোন ক্রমেই ক্রমধারা (সিরিয়াল) ভঙ্গ কর হবেনা। হজের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানের পর্যাপ্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা, প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত শিডিউল ঠিক রাখা, সহজে টিকেট প্রাপ্তি, হজ যাত্রীদের লাগেজ পরিবহন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজীকরণ, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা, সৌদি আরব অংশে খাবার, আবাসন ও পরিবহন সহ যাবতীয় সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকেই সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।
আনন্দবাজার/টি এস পি