- সবচেয়ে নীরব শহর জর্ডানের ইরবিদ
- তালিকায় দ্বিতীয় ভারতের মুরাদাবাদ
- তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ
বিশ্বসেরা শহরের তালিকায় আবারো উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আগে ছিল বায়ু দূষণের তালিকার শীর্ষে। এবার শব্দ দূষণেও বিশ্বসেরা খেতাপ পেল প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত মেগাসিটি ঢাকা। জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) ‘বার্ষিক ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভালো কোনো দিক বিবেচনায় নয়, ঢাকা এবার নির্বাচিত হয়েছে শব্দ দূষণে সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে। অন্যদিকে, শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত বা নীরব শহর নির্বাচিত হয়েছে জর্ডানের ইরবিদ শহর।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ু দূষণেও ঢাকার অবস্থান শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ। শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় রাজশাহী শহর। এই শহরের অবস্থান চতুর্থ এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি পঞ্চম। অর্থাৎ শব্দ দূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে চারটিই দক্ষিণ এশিয়ার।
তবে এ তথ্য-উপাত্ত কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ঢাকার কোন এলাকার শব্দ দূষণ কীভাবে নিরূপণ করা হয়েছে, প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমতিযোগ্য শব্দের মাত্রা ৫৫ ডিবি (ডেসিবেল) এবং বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডিবি। সেখানে ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডিবি এবং রাজশাহীতে ১০৩ ডিবি পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির দূষিত শহরের এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৩টি শহর রয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী আছে এই তালিকায়। এছাড়া ভারতের পাঁচটি শহর- মুরাদাবাদ, কলকাতা, আসানসোল, জয়পুর এবং দিল্লিও রয়েছে।
তবে এই তালিকায় শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে জর্ডানের ইরবিদ শহর। শহরটিতে শব্দের মাত্রা ৬৯ ডেসিবেল পাওয়া গেছে। সবচেয়ে কম শব্দ দূষণে ইরবিদের পরই আছে ফ্রান্সের লিয়ন (৬৯ ডেসিবেল), সুইডেনের স্টকহোম (৭০ ডেসিবেল) এবং সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড (৭০ ডেসিবেল)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশগত শব্দের উত্স যেমন রাস্তার যানজট, বিমান চলাচল, রেল চলাচল, যন্ত্রপাতি, শিল্প এবং বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সৃষ্ট শব্দ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।