ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে সেবার মান, শয্যা বৃদ্ধি জরুরি 

বেড়েছে সেবার মান, শয্যা বৃদ্ধি জরুরি 

৫০ শয্যার পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফ্রি-তে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের অপারেশনসহ অন্যান্য রোগীর মান সম্মত চিকিৎসাসেবা পাওয়ায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে রোগীরদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নতি করণের দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজসহ এলাকাবাসী।

ডা. সোলাইমান হোসেন মেহেদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারি এ হাসপাতালটিকে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের শীর্ষ স্থানের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরিপে দেশের ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করলেও ফেব্রুয়ারি মাসের জরিপে এককভাবে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন।

তিনি এসেই রোগীদের সু-চিকিৎসায় হাসপাতালটি আধুনিকায়নে জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার, ডায়েবেটিস ওয়ার্ড,প্যাথোলজি এক্স-রে মেশিন চালু করাসহ সব ধরণের অপারেশন নিজে উপস্থিত থেকে করেন। চালু করেন গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলেভারি কার্যক্রম। হাসপাতালের পুরাতন স্টিলের বেডগুলো সরিয়ে নতুন করে ২০টি আইসিইউ বেড ওয়ার্ডে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। অপরদিনে পুরাতন স্টিলের বেডগুলো প্রয়োজনী মেরামত করে হাসপাতালে বারান্দায় সাজিয়েছেন। যাতে কোনো রোগীর মেঝেতে শুয়ে থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে না হয়।

সম্প্রতি ডা. সোলাইমান হোসেন মেহেদী  উপজেলার সমসাবাদ এলাকার বিনয় ঘোষের স্ত্রী মালতী রানীর হিপ বলের সফল একটি জটিল অপারেশন সম্পূর্ণ করেছেন। যা একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা পঙ্গু হাসপাতালসহ বিশেষায়িত হাসপাতাল ব্যাতিত করা অসম্ভব এবং বাহিরে এ অপারেশনে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হতো। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে তিনি তা বিনা খরচে করিয়েছেন। হাসপাতালটির সেবার মান ভালো হওয়ায় দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাবু মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। গত কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার বাম হাত ভেঙ্গে গেলে এখানে অপারেশনের মাধ্যমে তার হাতটি ভালো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের ৪৭টি কঠিন ও জটিল রোগের সফল অপারেশন করেন। যার প্রায় সব রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

হাসপাতালের রেজিষ্টারে দেখাযায়, জরুরি ও বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫শ’ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসে এবং ১০০ থেকে ১৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, সীমিত পরিসরে আমি ও আমার মেডিকেল টিম নিয়ে আন্তরিকতার সহিত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অপরদিকে প্রতিদিন রোগির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করনের জন্য ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নিত করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও জরুরি অপারেশনকালে ওটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য একটি আইপিএস বা জেনারেটরের প্রয়োজন। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন