- বরিশালে সড়ক অবরোধ করে রিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা রাখার স্ট্যান্ড নির্ধারণ, অযথা শ্রমিক হয়রানি-মামলা-নির্যাতন বন্ধ করা ও নীতিমালা চুড়ান্ত করে অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যেগে বেলা ১১টা থেকে নগরীর অশি^নী কুমার হলের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। যা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে করে বরিশাল নগরীজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতেকরে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ, বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী প্রমুখ।
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদার বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেই ৫ টাকা, আর আমাদের মামলা দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকার। প্রতিবাদ করলে মামলার পরিমান অহেতুক বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই। রাস্তায় যাত্রী নামানোর জন্য রিকশা বা ইজিবাইক দাড় করালেই পুলিশ হাজির হয়। আমাদের হয়রানি করে। আমাদের নিয়ে এত সমস্যা থাকলে কেন রাস্তায় নামতে দিয়েছে সরকার। নগরীতে রাস্তা ছাড়া কোনো স্থান নেই যেখানে গাড়ি দাড় করানো যায়। যদি স্ট্যান্ড থাকতো তাহলে আমাদের গাড়ি রাখতে সুবিধা হতো। আর এতে পুলিশী হয়রানিতেও পড়তে হতো না আমাদের।
কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকার যদি ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় তাহলে চালকরা চুপ থাকবো না। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ করে দেওয়া হলে ১ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।