ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলের জালে ৩৫ কেজির বাগাড়

জেলের জালে ৩৫ কেজির বাগাড়

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকার মোহনায় জেলেদের জালে মঙ্গলবার সকালে প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি দৌলতদিয়া ঘাট মাছের আড়ৎ থেকে নিলামে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ১৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন।

স্থানীয় জেলেরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ না পাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেক দিন পর মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে বাহির চর দৌলতদিয়ার ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার পদ্মা নদীর মোহনায় স্থানীয় জেলে সাইদ হালদার ও তার দল জাল ফেললে প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের বিশাল একটি বাগাড় মাছ ধরা পরে।

তার আগে সোমবার দিবাগত রাতে সাইদ ও তার দল পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। রাত জেগেও কোন মাছ নাা পাওয়ায় তারা হতাশ হন। রাত শেষে যখন তারা বাড়ি ফিরে যাবার মনস্থীর করে শেষবারের মতো মনে করে মোহনায় জাল ফেলেন। জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় কয়েকবার বড় ঝাকি দিলে তখনই বুঝতে পারেন বড় কোন মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় এক বাগাড় মাছ। পরে মাছটি সকালে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন মাছ বাজারের আড়তদার রওশন মোল্লার ঘরে। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা মাছটি কিনে নেন।

দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার সুমাইয়া মৎস্য আড়তের সত্ত্বাধিকারী মো. সোহেল মোল্লা জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রওশন আড়তদারের ঘর থেকে নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৫ হাজার টাকায় কিনে নেই। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরি ঘাটের পন্টুনের সাথে রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। উৎসুক অনেকে মাছটি দেখতে ফেরি ঘাটে ভিড় করছেন।

সোহেল মোল্লা আরো বলেন, অনেক দিন পর পদ্মা নদীতে এত বড় একটি বাগাড় মাছ পাওয়া গেছে। এতে জেলেরা যেমন খুশি হয়েছেন, আবার আমরাও খুশি হয়েছি। মাছটি ১৪০০ টাকা কেজি দরে হলে বিক্রি করবো। ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিচিত জনদের সাথে যোগাযোগ করছি। এখনো বিক্রি হয়নি। তবে বিকেলের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে।

গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, বহুদিন ধরে পদ্মা নদীর বড় কোন মাছের দেখা যাচ্ছেনা। তবে অনেকদিন পর পদ্মা নদীর বড় একটি বাগাড় মাছ পাওয়ায় ভালো লাগছে। আশা করি আগামীতে আরো বড় মাছ ধরা পড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন