ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখ টাকার স্বপ্ন জিরায়

লাখ টাকার স্বপ্ন জিরায়

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো জিরার চাষ করেছেন বারেক আলী নামে এক চাষি। জিরা চাষ করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এ চাষি। তার বাড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা এলাকায়

বারেক আলী বলেন, বিশ বছর আগে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘরে বসবাস শুরু করি। বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা এলাকা থেকে ১ কেজি জিরা বীজ নিয়ে আসি। চরের ৩৩ শতাংশ জমিতে মানিকগঞ্জ জেলায় প্রথম জিরা চাষ করি।

বারেক আলী আরো বলেন,  জিরা চাষে একাধিকবার নিরানী ও সার দেয়ার কারণে খরচটা বেশি। ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।  ফলন অনেক ভালো হয়েছে। লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, হরিরামপুরের চরাঞ্চলে বারেক আলী নামের কৃষকের জিরার ফলন ভালো হয়েছে। জিরাগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। প্রধান কাণ্ডের ওপর আরো তিন থেকে পাঁচটা প্রধান প্রাথমিক শাখা বের হয়, যেখান থেকে আবার দুই থেকে তিনটা মাধ্যমিক শাখা উৎপন্ন হয়। বর্তমানে চার ধরনের জিরা হয়। সেগুলো হলো লম্বা, খাটো, পিংক ও সাদা ফুল। জিরা উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল কিন্তু মধ্যম মানের আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। শীতকালীন ফসল হিসেবে এর আবাদ হয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে জিরার বীজ বপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে, তখন ফুল ফোটা ও বীজ গঠন সম্পন্ন হয়। ৮০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে জিরা পরিপক্ব হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন