ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলুদে ফিরছে সুদিন

হলুদে ফিরছে সুদিন

রাান্নাঘরে হলুদ, বিয়ে বাড়িতেও হলুদ, হলুদ মিশে আছে বাঙালির খাদ্যাভ্যাস ও সাজগোজের সংস্কৃতিতে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও হলুদ চাষ লাভজনক। এ কারণে পাবনার আটঘরিয়ায় অনেক চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ চাষ করে সফল হচ্ছেন। পতিত জমিতে হলুদ চাষি করে ভাগ্য ফিরিয়েছেন অনেকে। আটঘরিয়া উপজেলায় চলতি বছরে ৪১ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। হলুদকে সাথী ফসল হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে এ প্রতিনিধিকে অনেকেই জানিয়েছেন।

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে হলুদের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদিত হলুদের ফলন হয়েছে বেশ। মাঠে কৃষকরা হলুদ ওঠাতে ব্যস্ত এখন। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা কাঁচাহলুদ কিনে চাতালে সিদ্ধ করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন।

হলুদ চাষি দুলাল মৃর্ধা বলেন, দেবোত্তর, চাঁদভা, একদন্ত, মাজপাড়া  ও পৌরসভায় ব্যাপকহারে হলুদ চাষ হয়েছে। এ বছর হলুদের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। হলুক্ষেতের ভেতর মরিচেরও চাষ করে মুনাফা একটু বেশি পেয়েছেন কৃষক।

কয়েকজন হলুদ চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ মণ হলুদ উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি মণ কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত। হলুদ চাষে জৈব সার ব্যবহারে খরচ হয় কম। এক বিঘা জমির কাঁচাহলুদ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়। অনেক বছর ধরে হলুদ চাষ করছেন তিনি। আগে চাষ করতেন নিজ পরিবারের সারা বছরের চাহিদা মেটাতে। এখন তিনি হলুদ আবাদ করছেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ জানান, আটঘরিয়া উপজেলা ৪১ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ করা হয়েছে। হলুদের রয়েছে নানা গুণ। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে হলুদের কোনো জুড়ি নেই। খালি পেটে কাঁচা হলুদের রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। দুরারোগ্য ক্যানসার রোগ সারাতে হলুদ মশলাসমৃদ্ধ তরকারীর ঝোল পথ্য হিসেবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন