ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে সাফারি পার্ক নির্মাণে পরিকল্পনা

রাজশাহীতে সাফারি পার্ক নির্মাণে পরিকল্পনা
  • ১০০ একর জমির নির্মান পরিকল্পনা
  • বর্তমান চিড়িয়াখানাটি হবে বার্ড জোন ও শিশু পার্ক

রাজশাহী মহানগরীতে ১০০ একর জমিতে সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে রাসিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মহানগরীর আমচত্বর এর আশেপাশের এ সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাকে করা হবে স্পেশাল বার্ড জোন ও শিশু পার্ক। সাফারি পার্কটি নির্মাণ হলে প্রাণিগুলো যেমন থাকার পরিবেশ পাবে অন্যদিকে বিনোদনের নতুন একটি ক্ষেত্রও তৈরি হবে রাজশাহী মহানগরীতে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্র বলছে, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাটিকে ‘স্পেশাল বার্ডজোন ও শিশু পার্ক’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রাসিকের। আর নগরীর উপকণ্ঠ আমচত্বর এলাকায় একটি সাফারি পার্ক করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাফারি পার্ক হলে চিড়িয়াখানার বড় প্রাণিগুলোকে সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। আর ছোট ছোট প্রাণি এবং পাখি থাকবে সিটি করপোরেশন পরিচালিত এ কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায়।

চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ও তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনাকালে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় উন্নয়নকাজ শুরু হয়েছে। ভেতরের সবদিকটাই রাস্তার চেয়ে নিচু। তাই সবখানে মাটি ভরাট করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চিড়িয়াখানাটিকে একেবারে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখনকার প্রাণি শেডগুলো প্রাণিবান্ধব নয়। সব শেডই নতুন করে করা হবে। আর রাজশাহীতে একটি সাফারি পার্ক করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে রাসিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সেই সাফারি পার্কটি হলে চিড়িয়াখানার বড় প্রাণিগুলোকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। আর পাখি এবং ছোট প্রাণীগুলো থাকবে চিড়িয়াখানায়। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানাটি একাধিকবার বন্ধ হয়েছে, খুলেছেও। তবে সবশেষ করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকার কারণে তখনই চিড়িয়াখানার ভেতরে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বিধিনিষেধ উঠে গেলেও মাটি ভরাটের কাজ চলমান আছে বলে চিড়িয়াখানাটি আর খোলা হয়নি। আরও দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে চিড়িয়াখানা খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও রাসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল হক জানান, কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় অন্তত ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য একজন আর্কিটেক্ট সবকিছু দেখে প্রকল্প প্রস্তুত করেছেন। প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর চিড়িয়াখানায় এখন যেসব কাজ চলছে, সেগুলো দু-তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। তারপর চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন