ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাটাখালে পানি সংকট

কাটাখালে পানি সংকট
  • ব্যাহত পানি নির্ভর চাষাবাদ
  • পলি জমে কমেছে পানি প্রবাহ
  • খননের দাবি কৃষকদের

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়ার কাটাখালটি গত দুই যুগেও খনন করা হয়নি। এতে ক্রমাগত পলি জমে নাব্যতা সংকটে কমে গেছে পানিপ্রবাহ। ব্যাহত হচ্ছে ওই অঞ্চলের পানি নির্ভর চাষাবাদ। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের পানির অভাবে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে দ্রুত খালটি খননের মাধ্যমে পানির প্রবাহ সচল রাখার দাবি জানান স্থানীয় চাষিরা।

কাটাখালের পানির ওপর নির্ভর করেই ৫শ’ একর জমিতে বোরো ও ইরি চাষ করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে খালে তেমন পানি না থাকায় শুকিয়ে গেছে অনেক ধানক্ষেত। অনেক ধানি জমি শুকিয়ে চৌচির পাতায় দেখা দিয়েছে হলুদ রং। খালটির তিন কিলোমিটার অংশ দ্রুত খননের দাবি জানান স্থানীয় চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ জনপদের বেশির ভাগ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেচের পানির জন্য কাটাখালের ওপর নির্ভরশীল তারা। তবে খালটিতে পলি মাটি জমে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। দুই যুগেও খালটি খনন করা হয়নি।

বিগত দিনে চর আড়ালিয়ার দুই শত কৃষক কাটাখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। তাদের ৫০০ একর জমির জন্য ৮টি ¬েসচ পাম্প বসানো হয়েছে। তবে খালে পানি না থাকায় ধান ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পলি জমে কাটাখালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। দুই যুগেও খাল খননে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহতসহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক শাহ আলম, নোয়াব মিয়া, নাসির উদ্দিন ও আক্তার মিয়া জানান, কাটাখালের পানির উপর নির্ভর করেই ৫শ’ একর জমিতে বোরো ও ইরি চাষ করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে খালে তেমন পানি নেই। এতে ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। পাতায় হলুদ রং দেখা দিয়েছে। এছাড়া খালটির তিন কিলোমিটার অংশ দ্রুত খননের দাবি জানিয়েছেন তারা।

চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সরকার বলেন, দুই যুগেও খালটি খনন করা হয়নি। কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে কাটাখাল খনন এখন সময়ের দাবি।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ায় কাটাখালের পানিপ্রবাহ কমে গেছে। এতে ফসল উৎপাদন কমবে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খালটি পুনরায় খনন করা প্রয়োজন।

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) শাহাবউদ্দিন আহমেদ জানান, ৬৪ জেলার খাল খনন প্রোগ্রামের মধ্যে কাটাখালটি রয়েছে। এর দুই কিলোমিটার অংশ খনন প্রস্তাবনায় আছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে অনেকগুলো খাল খনন অনুমোদন পেয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে কাটাখাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন