বাঙালি জাতি ও বিদেশিদের শ্রদ্ধা আর সম্মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন বিশ্ববন্ধু। আর বিশ্ববন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হচ্ছে লন্ডনে তাঁর এই আবক্ষ ভাষ্কর্য স্থাপন।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের প্রাঙ্গনে “শ্রদ্ধা” শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিডনি স্ট্রিট, পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক আবক্ষ ভাষ্কর্যটি ঘিরে বিদেশি বন্ধুদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মেলবন্ধনের ছবিগুলো নিয়ে আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর আয়োজনে মঙ্গলবার ধানমন্ডি ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে উদ্বোধন হয় ৭ দিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
প্রদর্শনীতে উপস্থিত থেকে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আবদুল মান্নান চৌধুরীসহ অন্য অতিথিদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে ৭ দিনব্যাপি এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন আলোকচিত্রশিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর মাতা ফজিলা বেগম।
আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, জয় বাংলা কথাটি সর্বক্ষেত্রে বলা উচিত। জাতীয় অ্যাস্যাম্বলিতে জয় বাংলা বলতে হবে। জয় বাংলা এর সাথে জয় বঙ্গবন্ধু শব্দটি অসমাপ্ত থাকে তা না হলে জয় বাংলা সাথে জয় বঙ্গবন্ধু থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় তুলে ধরতে লেখালেখি বা ছবি আঁকে, আর ক্যামেরায় ছবি তুলে ফোজিত শেখ বাবুর মতো কাজ করেন। আমি আজকের এই বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য নিয়ে ছবি প্রদর্শনীর জন্য ফোজিত শেখ বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান)।
এছাড়া প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড এর প্রকাশক নন্দিনী লুইজা, কানাডা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুল গাফ্ফার, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ পরিচালক, মাশনু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তানভীল আহমেদ মজুমদার, তৌহিদ মো. এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আহসানা অঙ্গনা ও কাতার প্রবাসি লিয়াকত আলী প্রমুখ।
আনন্দবাজার/টি এস পি