ঢাকা | রবিবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডোপ টেস্টে ভোগান্তি

ডোপ টেস্টে ভোগান্তি

মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্তে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এতে জনমনে আশার আলো সঞ্চার হয়েছে। তবে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল তথা সিলেট বিভাগের কোনো সরকারি হাসপাতালে এ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশি ও সরকারি চাকরি প্রার্থীরা। জরুরি বিবেচনায় অনেকে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে ডোপ টেস্ট করছেন। এতে গুনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি অর্থ। এনিয়ে কেউ কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।  অপরদিকে পেশাদার চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে যখনই তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন তখনই ট্রাফিক পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

জানা যায়, ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু কিংবা নবায়নকালে প্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃক সম্পাদিত ডোপ টেস্ট সনদ দাখিলের নির্দেশনা জারি করে বিআরটিএ। সরকার-অধিভুক্ত হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরি থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। সরকারি এ নির্দেশনা জারির পর সিলেট বিভাগের মধ্যে একমাত্র সিলেট পুলিশ লাইন হাসপাতালে এ টেস্ট করা হতো। মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা সিলেট পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্ট করে নিয়ে আসতেন। তবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেট পুলিশ লাইন হাসপাতালও পুলিশ সদস্য ব্যতীত অন্যদের ডোপ টেস্ট বন্ধ করে দেয়। এতে করে চরম দুর্ভোগ ও হয়রানির মধ্যে পড়েছেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। বিআরটিএ অফিস সূত্র জানায়, নির্দেশনার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২শ’ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী ডোপ টেস্টের রিপোর্ট দিতে না পারায় ফিঙ্গার দিতে পারছেন না।

জেলা পরিবহণ শ্রমিক নেতাদের দাবি, প্রতিটি হাসপাতালে ডোপ টেস্ট চালু করে এ নির্দেশনা দেয়া উচিত ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় এটা করা হয়নি। মৌলভীবাজার বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ডালিম উদ্দিন জানান, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাববধায়ককে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। তবে তারা এখনও পর্যন্ত চালু করেন নি বলে যুক্ত করেন এ কর্মকর্তা।

মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালের তত্তবাবধায়ক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে ডোপ টেস্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তখন তিনি মাস দেড়েকের মধ্যে এটি শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন