ঢাকা | সোমবার
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিস্ফোরক সংকটে মধ্যপাড়ায় উৎপাদন বন্ধ

বিস্ফোরক সংকটে মধ্যপাড়ায় উৎপাদন বন্ধ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব

পরিবহন সংকটে পাথর খনিতে প্রতিদিন ক্ষতি দেড় কোটি

পাথর উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক সংকটের কারণে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন সরকারের লোকসান হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। ১২ মার্চ সকাল থেকে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

তবে খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) বলছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিষ্ফোরক আমদানিতে বিলম্ব হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী খনির উন্নয়ন, উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাহিদামত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিষ্ফোরক সরবরাহ করার কথা গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের। তবে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (জিটিসি) কে চুক্তির আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় বিষ্ফোরক সরবরাহ করতে না পারায় খনির উন্নয়ন ও পাথর উৎপাদন কাজে বতর্মান সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। 

খনি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পাথর উত্তোলন কাজের জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। চুক্তি অনুযায়ী খনি কর্তৃপক্ষ সময়মত জিটিসিকে চাহিদা মাফিক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ করবে। তবে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) জিটিসিকে চুক্তি মোতাবেক সময়মত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ করতে পারেনি। খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তাগাদা সত্ত্বেও গত ২১ অক্টোবর থেকে যথাযত সহযোগিতার অভাবে বর্তমান এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

খনি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও কর্মদক্ষতার অভাবে সময়মত বিস্ফোরক সরবরাহ না করায় দৈনিক গড়ে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন সরকারের লোকসান প্রায় দেড় কোটি টাকা। কবে নাগাদ আমাদানীকৃত এ বিস্ফোরক দেশে এসে পৌঁছাবে এর সঠিক কোনো দিনক্ষণও বলতে পারছেন না খনি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে খনির বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি মধ্যপাড়া পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহনের প্রথম মেয়াদে খনি উন্নয়ন এবং পাথর উত্তোলন কাজের জন্য চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় বিদেশী মেশিনারিজ এবং যন্ত্রাংশ খনি কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৩ বছর উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়। খনির রক্ষণাবেক্ষণ সচল রাখতে জিটিসিকেও কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ সকল বিদেশী মেশিনারিজ এবং যন্ত্রাংশ খনি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করার কথা। 

মধ্যপাড়া পাথর খনির মহাব্যবস্থাপক (ইউজিওএন্ডএম) আবু তালেব ফরাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে এসব বিষ্পোরক আমদানী করা হয়। তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিষ্ফোরক আমদানিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে, এ মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ থাইল্যান্ড থেকে বিষ্ফোরকের একটি চালান বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন