ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে সংর্ঘষে নিহত ৩

ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে সংর্ঘষে নিহত ৩

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ছুরিকাঘাতে কাপাসিয়ায় ৩জন নিহত হয়েছে। এ সময় অন্তত আরও ৫ জন গুরুতর আহত হয়। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা দক্ষিণগাঁও চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতরা হলেন- মৃত আলম হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই এলাকার হিরণ মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া (২০) এবং আলম মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২৫)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাহমুদ বলেন, ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের জাহিদের স্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পাশ^বর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কুচেরচর এলাকার ইয়াসিনের সহযোগী একদল ছেলের সঙ্গে সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও গ্রামের নাঈম ও তার সহযোগীদের সঙ্গে মারামারি বাঁধে। মারামারির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও ঘটে।

এ সময় ছুরি ও দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতারি আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ থেকে ৮ জন গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় আহতদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে পাশ^বর্তী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈম হোসেন (১৭) ও ফারুক মিয়াকে (২৫) মৃত ঘোষণা করেন।

কাপাসিয়া থানার ওসি এ.এফ.এম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও চরপাড়া গ্রামের একদল যুবকের সঙ্গে মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর এলাকার একদল যুবকের সংঘর্ষ বাঁধে।

এসময় ছুরি ও দেশীয় অস্ত্রের এলোপাতারি আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ থেকে ৬ জন গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদের ক’জনকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈম হোসেন (১৭) ও ফারুক মিয়াকে (২৫) মৃত ঘোষণা করেন।

আহতদের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত রবিনের (২০) মৃত্যু হয়। সে দক্ষিণগাঁও চড়পাড়া গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে।

হামলায় আহতরা হলেন- দক্ষিণগাঁও গ্রামের নয়ন সরকারের ছেলে রাব্বি (১৪), মির্জা নগর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে হৃদয় (১৪), মামুরদী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ফাহিম ও চরআলী নগর গ্রামের জাহিদ হোসেন (২৮)। ওসি এ.এফ.এম নাসিম আরো জানান, উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মনোহরদীর কোচেরচর এলাকার মোস্তফার ছেলে বেলায়েত (২৩) ও দৌলতপুর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে ফয়সালকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন