পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নওগাঁর পত্নীতলার খামারিরা। ফিডের দাম বেড়ে গেলেও বাড়েনি মুরগির দাম, তাই লোকসান গুণতে হচ্ছে এমন দাবি খামারিদের। পোল্ট্রিশিল্প রক্ষায় দ্রুত খাদ্যের দাম কমিয়ে আনার দাবি তাদের।
জানা যায়, পত্নীতলার প্রায় ৪শ’ পোল্ট্রি খামারি রয়েছেন। বর্তমানে ৫০ কেজির ফিড বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮শ’ টাকা দরে। গত ৬ মাসেই প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ২৭৫ টাকা। ফিডের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় বাড়েনি মুরগির দাম। তাই লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচ তুলেতেই হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। লোকসানে পড়ে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।
খামারীরা বলেন, গত ৬ মাসেই খাদ্যের দাম প্রতি বস্তায় প্রায় ২২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রতিদিন আঠারো হাজার টাকার মত খরচ হয়। এ টাকাই আমরা তুলতে পারি না। এছাড়া মুগির জন্য যে ভ্যাকসিন দরকার সেগুলো উপজেলা প্রাণিসম্পদ কেন্দ্রে গেলে আমরা পাইনা। কোম্পানি থেকে কিনতে গেলে অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়।
পত্নীতলা খামার সমিতির সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, খুব শিগগিরই যদি খাদ্যের দাম কমানো না হয় তাহলে আমরা সবাই বিপদে পড়ে যাব। গতবছর আমরা অনেকেই পুঁজি হারিয়েছি। এবারও আমাদের যতটুকু পুঁজি ছিল সবটুকু হারিয়ে ফেললে আমরা পথে বসে যাবো। সরকারের কাছে আকুল আবেদন পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় আমাদের দিকে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য।
খাদ্যের দাম হঠাৎ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এটা জাতীয় সমস্যা। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। এছাড়া গো-খাদ্যর বিকল্প হিসেবে ঘাস চাষে খামারিদের সাহায্য সহযোগিতা করছি।
দ্রুত খাদ্যের দাম কমিয়ে পোল্ট্রিশিল্পকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্টরা এমন প্রত্যাশা পত্নীতলা উপজেলা খামারিদের।