ঢাকা | মঙ্গলবার
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাহিদা বাড়ছে কৃত্রিম ফুলের

চাহিদা বাড়ছে কৃত্রিম ফুলের

তাকালে সত্যিই চোঁখ ফেরানো দায়! দৃষ্টিনন্দন বাহারি রঙের কাপড় দিয়ে তৈীি করা কৃত্রিম ফুল তথা প্লাস্টিকের ফুল। গন্ধহীন, প্রাণহীন! আছে শুধু শোভা আর সৌন্দর্য। যাকে বলা হয় কৃত্রিম ফুল। এ ফুলগুলো দেখতে একেবারে তাজা ফুলের মতোই। তবে তাজা ফুলের মতো গন্ধ ও শুভ্রতা বিলিয়ে দিতে না পারলেও তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়ার নেই কোনো ভয়। শহরের প্রায় প্রতিটি গিফট্ আইটেম ও কসমেটিকস্ সামগ্রীর দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ফুল। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ছাড়াও অনেকে ফেরি করে বিক্রি করছেন এসব ফুল। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও শোভা পায় প্লাস্টিকের এসব ফুল। তাই দিন দিন কৃত্রিম ফুলের দিকে ঝুঁকছেন সৌন্দর্য পিপাসুরা। এতে করে কৃত্রিম ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

মনের মতো ফুল পাওয়া যায় শহরের বিভিন্ন গিফট্ আইটেম ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে। এরমধ্যে অন্যতম শহরের প্রকৌশলী ভবনের নিচতলার মার্কেট, রাজবাড়ি রোডের ফুল পট্টির কয়েকটি দোকান, জয়দেবপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড, চান্দনা চৌরাস্তাসহ শহরের বেশকিছু মার্কেটে। এসব মার্কেটে কিছু দোকান গড়ে উঠেছে এ কৃত্রিম ফুল বিক্রিকে কেন্দ্র করেই।

প্রকৌশলী ভবনের সাদিয়া কসমেটিকস দোকানের বিক্রেতা সোলাইমান সিকদার জানান, বর্তমান সময়ে এসব ফুলের ক্রেতাও বেশি এবং চাহিদাও ব্যাপক। সারাবছরই এসব ফুল বিক্রি হয়। দামের উপর নয় মূলত বাহারী ডিজাইনের দিকেই লক্ষ্য করেই ক্রেতারা এসব কৃত্রিম ফুল কেনেন। এসব ফুল বিক্রিতে ব্যবসা মোটামুটি ভালোই হয়, চলে আমাদের। ইউনিক কসমেটিকস’র পরিচালক আরিফ মাঝি জানান, দোকানে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ফুল রয়েছে। ক্রেতাদের ভিন্নরকম পছন্দ।

শহরের একাধিক কৃত্রিম ফুল বিক্রেতা জানান, মনুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশি সৌখিন হয়েছে। নতুন ব্রবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু নতুন বাসা সবাই যেন ঘরের বিভিন্ন জায়গায় গন্ধহীন কৃত্রিম ফুলের মাধুর্য ধরে রাখার চেষ্টা করে।শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণী ও নারীরা ভিড় জমাচ্ছেন সৌন্দর্যবর্ধণের এসব পণ্য ক্রয়ের জন্য। তাজা ফুলের দোকানগুলো থেকেও আমাদের বিক্রয় অনেক ভালো।

তারা আরো জানান, দেখা যায় অনেকে বাসার বারান্দায় ফুলের গাছ লাগালেও ঘরের ভেতরে আলো বাতাস না থাকায় কৃত্রিম ফুল দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানোর প্রয়াসেই বড় বড় গাছ কিনছেন। তবে নারীরা তাদের গৃহসজ্জার জন্য এসব ফুল বেশি কিনে নেন। জানা যায়, গন্ধহীন কৃত্রিম এই ফুলগুলো তৈরি হয়ে থাকে প্লাস্টিক, ফোম, কাপড় দিয়ে এবং ফুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য মেটাল, প্লাস্টিকের ছোট ফুল,পুতিঁ ইত্যাদি। তাছাড়া ফুলগুলো দেখতে চাকচিক্যময় এবং দৃষ্টিনন্দন। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, টিউলিপ,কসমস,বেলী, কদম,নাইট ফুল,জারবেরা,অর্কিড ফুল,গাঁদা ফুল,সূর্যমুখী ফুল ইত্যাদি। রয়েছে ছোট-বড় এবং মাঝারি সাইজের বিভিন্ন ফুল। স্টিক ফুলগুলোর দাম নির্ভর করে কোন ম্যাটেরিয়ালের ওপর। এরমধ্যে কিছু থাকে দেশী এবং বিদেশী।

দোকানগুলোতে ঝোলানো ফুল টবসহ ২শ থেকে ৭শ টাকা। টবসহ ফুলের ঝাড় পাওয়া যায় ২শ থেকে ৯শ টাকার মধ্যে। হ্যাঙ্গিং ফুল ১৫০ থেক ৬০০ টাকা। আরো বেশি দামের ফুলও পাওয়া যায় এসব দোকানে। প্রকৌশলী মার্কেটে কথা হয় কৃত্রিম ফুল কিনতে আসা দুজন ত্রেতার সঙ্গে তারা জানান, এগুলো দেখতে অনেকটা তাজা ফুলের মতোই। কিন্তু কোন ধরনের গন্ধ নেই। ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই মূলত কিনতে এসেছি এ ফুল। এফুলগুলো একবার কিনলে কয়েকবছর পর্যন্ত চলে যায়।  ফুলগুলো সহজেই নষ্ট হয়না।

সংবাদটি শেয়ার করুন