খুলনা-যশোর মহাসড়ক
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়ক সম্প্রতি সময়ে দীর্ঘ যানজটের পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অফিস-আদালতগামী ও শহরমুখি পথচারী সহ সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিদিনের চিত্র সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট। যা এখন চরম ভোগান্তির আরেক নাম।
ছোট-বড়, মাঝারি যানবহনগুলো ভারী করে তুলছে মহাসড়ককে। বিশেষ করে মহাসড়কে চলাচলরত ক্ষুদ্র বা মাঝারি যানবহন তথা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইঞ্জিনের রিকশা ভ্যান, দূরপাল্লার বাসগুলোর যাত্রী ওঠা নামানোর প্রতিযোগীতা, অনুমোদিত পার্কিং এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লাদিয়ে ছুটছে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, সিএনজিসহ অসংখ্যক ইঞ্জিনচালিত রিকশা-ভ্যানসহ মোটরবাইক। ট্রাফিক আইনের কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে এ সকল যানবহনগুলোর ইচ্ছাস্বাধীন বিচরণ মূলতই যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ দৌলতপুর পিরামিড ক্লিনিক সম্মুখ হতে মুহসীন মোড় পর্যন্ত খুলনা-যশোর মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, সিএনজিসহ ইঞ্জিনচালিত যানবহনে উপচে পড়া ভীড়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। সড়কে হঠাৎ করে তাকালে মনে হচ্ছে যেন অচেনা কোনো ব্যস্ততম শহরে প্রবেশ। খুলনা-যশোর মহাসড়কজুড়ে ছুটে চলা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত রিকশা ভ্যান, হালকা-মাঝারি যানবহনসহ বাস-ট্রাকের দীর্ঘলাইনের যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে মহাসড়কে চলাচলরত পথচারীসহ সাধারণ মানুষসহ পথচারী, দীর্ঘ এ লাইনে পড়ে যাত্রী গায়ের ঘাম শুকিয়ে যাচ্ছে। এ যানজটের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগছে দীর্ঘক্ষণ।
যানজট নিরসনে যেন হাঁপিয়ে উঠছে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ উপ-পরিদর্শকসহ দায়িত্বরত কনস্টেবল। মহাসড়কে চলাচলরত ক্ষুদ্র বা মাঝারি যানবহন তথা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইঞ্জিনের রিকশা ভ্যান, দুরপাল্লার বাসগুলোর যাত্রী ওঠা নামানোর প্রতিযোগীতা, অনুমোদিত পার্কিং এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারি মিজানুর রহমান বলেন, দৌলতপুর ট্রাফিক মোড় থেকে মুহসীন মোড় পর্যন্ত সকাল হতে রাত পর্যন্ত দীর্ঘলাইন লেগেই থাকে। এতো জ্যাম যে রাস্তা হেটে পার হতে দীর্ঘ সময় লাগছে।
ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, শহরের যানজট নিরসরেন ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত কাজ করছে। ইতিমধ্যেই সড়করে যানজট মুক্ত করার লক্ষে বৈধ লাইসেন্স বিহীন যানবহন ও ব্যাটারী চালিত যানবহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।