ঢাকা | সোমবার
৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থোকায় থোকায় আমের মুকুল

থোকায় থোকায় আমের মুকুল

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গাছে গাছে থোকায় থোকায় মুকুলের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই আমগাছগুলো মুকুল সজ্জিত। ছোটবড় সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে লালচে ও সোনালী বরণ মুকুল। ফুটন্ত মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে সুবাসিত চারপাশ। মৌমাছিসহ নানা পতঙ্গ ও মানুষকেও বিমোহিত করছে সেই সুবাস।

গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ মুকুল হওয়ায় ভালো ফলনের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে আম গাছ ও বাগানের মালিকরা। সেজন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যার প্রস্তুতিও নিয়েছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পাড়া মহল্লাসহ শহর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত আম চাষিরা। গাছে গাছে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াও মুকুল ধরে রাখতে সময়মত পানি ও পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

শহরের গোলাহাট ওয়াপদা পূর্বপাড়ার আমচাষি রবিউল ইসলাম জানান, গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি আমের মুকুল ধরেছে। আবহাওয়াও মোটামোটি এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। একারণে আমের ভালো ফলনের আশা করছেন। তিনি বলেন, কোনো প্রকার ঝড়ের কবলে না পড়লে ইনশাআল্লাহ এ আশা পূরণ হবে।

কামারপুকুর ইউনিয়নের তোকদার পাড়ার আম চাষি ইমরুল হাসান বলেন, তার বাগানে প্রায় ৩ শতাধিক গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন উন্নত জাতের সুস্বাদু আম রয়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে বেশি ফলনশীল হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ বেশি করেছেন। পাশাপাশি তিনি ভিন্ন জাতেরও পরীক্ষামূলক চাষ করছেন। তার মধ্যে ল্যাংড়া, মিশ্রিভোগ, গোপালভোগ, দুধ আম, গোলাপজাম, সূর্যপুরি, ফজলি আমসহ আরো একাধিক আম।

তিনি বলেন, এ কারণেই আমগাছের মুকুল ধরার আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা আসেন তার বাগানে এবং সেখান থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা উপজেলার আমচাষি ও বাগান মালিকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করে থাকেন ।

একই রকম কথা জানান, খাতামধুপুর ইউনিয়নের আমচাষি মোহাইমিনুল ইসলাম ঝন্টু জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। পাশাপাশি কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।

মুকুল থেকে আমের গুটি হয়ে ফলন পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন হবে এবারের ফলন। এমনটিই আশা করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। আশান্বিত বাম্পার ফলন পেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা সৈয়দপুরে আম সংরক্ষণের জন্য একটি সরকারি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কর্মকর্তা ইমরান সরদার জানান, গাছে গাছে যেভাবে মুকুল দেখা গেছে তাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন না ঘটলে এবারে এ উপজেলায় আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। আমরা কৃষকদের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন