মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধোধরাইয়ে সেতু ভেঙে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

ধোধরাইয়ে সেতু ভেঙে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রংপুরের বদরগঞ্জের রাধানগর ইউনিয়নে ধোধরাই নদীর সেতু ভেঙে গেছে।  এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সেতুটি সহসাই নির্মিত না হওয়ায় সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। উপজেলায় নতুন তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও তাতে ধোধরারপাড় গ্রামের এ সেতু জায়গা পায়নি। এতে এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ধোধরারপাড়ের সেতুটি আড়াই বছর আগে ভেঙে পড়ে। বর্তমানে লোকজন বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে। তবে গাড়ি ব্যবহার করে ভারী কোনো মালামাল সাঁকো দিয়ে আনা নেওয়া করতে যাচ্ছে না। এ জন্য ঘুরতে হয় ১৫ কিলোমিটার।

এ অবস্থায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায় ওই এলাকাসহ সাত জায়গায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত মাসে মন্ত্রণালয় থেকে বদরগঞ্জে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ধোধরাই নদীর ওপর সেতুর নাম নেই। এতে থেকেই যাচ্ছে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ।

ধোধরাই নদী রাধানগর ইউনিয়নটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। নদীর এক পাড়ে রয়েছে বিদ্যালয়-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বদরগঞ্জ শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক। অপর পাড়ে রয়েছে পাঁচটি গ্রামসহ লিচু ও সবজির জন্য বিখ্যাত চকের ডাঙ্গা এলাকা। চাষিরা তাঁদের ফল ও ফসল নিয়ে ধোধরারপাড় সেতু দিয়েই যাতায়াত করতেন। তবে আড়াই বছর আগে সেতুটি পানির তোড়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াত করলেও চাষিরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ফসল আনা নেওয়ায়। ৫০ গজ লম্বা সেতুটি না থাকায় চাষিদের কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তারাগঞ্জ অথবা বদরগঞ্জ শহরে গিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  বেনাপোলে রেলপথ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য আমদানি শুরু

এলাকার বাসিন্দা মোকছেদ আলী বলেন, সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হলেও তাঁরা ব্রিজ নির্মাণে ভ্রুক্ষেপ রাখে না। আশায় ছিলাম এবার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্রিজ হবে, কিন্তু হলো না। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশাহ আলমগীর জানান, সড়কটি এলজিইডির হলেও সেতু করার কথা ত্রাণ অধিদপ্তরের।

বদরগঞ্জের পিআইও বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, দ্রুত সেতুটি নির্মাণে অনেক চেষ্টা করেছি। এ জন্য সয়েল টেস্ট করে স্থানীয় সাংসদের অগ্রাধিকার তালিকায় সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। তবুও কাজ হলো না। ওই নদীতে সেতুসহ উপজেলায় সাতটি সেতু নির্মাণে প্রস্তাব ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সেখান থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে ধোধরাই নদীর ওপরও সেতু নির্মাণের গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন