রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশজনিত ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের অবস্থান: চ্যালেঞ্জ ও সুশাসনের দিকে উত্তরণ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, টিআইবির গবেষণার তথ্য উপাত্ত থেকে প্রমাণিত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশজনিত ঝুঁকি বেড়েছে। টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যার ৬৩.২ শতাংশ রোহিঙ্গা ও ৩৪.৮ শতাংশ বাংলাদেশি। যা সামাজিক ঝুঁকি বৃদ্ধির মূল কারণ।
প্রতিবেদনে আরো উঠে আসে, রোহিঙ্গারা অল্প পারিশ্রমিকে বিনিময়ে কাজ করায় স্থানীয় কর্মীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাচ্ছে। এমনকি কক্সবাজারে সামাজিক অবক্ষয়ের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান, নারীপাচার ও পতিতাবৃত্তি বেড়ে চলছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে কক্সবাজারে । ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আনন্দবাজার/এফআইবি