ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে সড়কে ঝুঁকি বাড়ছে

সোনারগাঁয়ে সড়কে ঝুঁকি বাড়ছে

ছোট-বড় যানবাহন আসার সময় প্রায়ই কাত হয়ে গর্তে পড়ে যায়। এর কারণে গত দুই মাস আগে এ রাস্তায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ী তার গাড়ি গর্তে ফেলে দেয়। এতে সোনারগাঁ থানার দুই অফিসারের মৃত্যু হয়। এছাড়া সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও ভাঙ্গনের কারণে গত ৬ মাস আগে দত্তপাড়া মসজিদের সামনে মালামাল নিয়ে একটি কভার্ডভ্যান উল্টে গিয়ে দুইজন আহত হয়। গত এক বছরে এ সড়কে ৩০টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটে

সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভার এলাকার বেইস (গণবিদ্যালয়) থেকে থানা পর্যন্ত সড়কটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সড়কের তুলনায় অতিরিক্ত ভারি যানবাহন ও খালের পাশে গাইড ওয়াল না থাকায় সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি।

জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার শহীদ মজনু সড়ক থেকে বেইস-এর সামনে থেকে একটি রোড থানা রোডে গিয়ে মিলিত হয়েছে। সড়কটি অনেক পুুরোনো হলেও আশপাশে বাড়িঘর ও খালবিল থাকায় রাস্তাটি তেমনভাবে প্রশস্ত করা হয়নি। অথচ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বছর কয়েক আগে সংস্কারের কাজ করা হলেও নিম্নমানের সামগ্রী ও ঠিকাদারের গাফলতির কারণে রাস্তাটি বছর না ঘুরতেই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি প্রসস্ত ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার করায় বছর না ঘুরতেই রাস্তার দু’পাশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। অনেকাংশে আবার খন্দের পাড়ে গাইড ওয়াল না থাকার কারণে রাস্তা দেবে গেছে। এখন কোনো বড় বা ছোট যানবাহন আসার সময় প্রায়ই কাত হলে গর্তে পড়ে যায়। যার কারণে গত দুই মাস আগে এ রাস্তায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ী তার গাড়ি গর্তে ফেলে দেয়। এতে সোনারগাঁ থানার দুই অফিসারের মৃত্যু হয়। এছাড়া সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও ভাঙ্গনের কারণে গত ৬ মাস আগে দত্তপাড়া মসজিদের সামনে মালামাল নিয়ে একটি কভার্ডভ্যান উল্টে গিয়ে দুইজন আহত হয়। এছাড়াও এ সড়কে প্রতিদিনি ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। গত এক বছরে এ সড়কে ৩০টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জনেরও অধিক লোক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১০ ফিট প্রশস্ত এ রাস্তাটি দিয়ে মেঘনা ইকোনোমিক জোন ও আমান ইকোনোমিক জোনের বড় বড় ট্রাক, লরি ও বাস চলাচলের পাশাপাশি ছোট খাটো যানবাহন চলছে। সড়কটি তুলনায় অতিমাত্রার ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কটির কয়েকটি স্থানে দ্রুত ভেঙ্গে গিয়ে একপাশে ঢালু হয়ে দেবে যাচ্ছে। স্থানীয় মুসল্লিরা নিজস্ব অর্থায়নে ও যানবাহন থেকে কিছু টাকা তুলে বাইতুল আমান মসজিদের সামনের ভাঙ্গা অংশটুকু সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করলেও দেবে যাওয়া অংশটুকু সংস্কার করতে পারছেনা। এতে এ স্থানটিই এ সড়কের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন তারা।

সোনারগাঁও পৌরসভার প্রকৌশলী তানবির আহম্মেদ জানান, রাস্তাটি কয়েকবার সংস্কার করা হলেও রাস্তাটির দুপাশে খাল ও পুকুর থাকায় ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে দ্রুত ভেঙ্গে গিয়ে দুই পাশই দেবে গেছে। সড়ক ও জনপদ রাস্তাটি আরসিসি করার কথা থাকলেও তারা পরে করেনি। ফলে রাস্তাটির এখন নাজুক অবস্থা। চলতি মাসে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তাটি নতুন করে করার জন্য টেন্ডারে দিবো। আশা করি নতুন করে সংস্কার করলে ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন