মেহেরপুর-কুষ্টিয়া
মেহেরপুর-গাংনী-কুষ্টিয়া মহাসড়কটি চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলসহ পথচারিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মাঝে মাঝে সড়কটি মেরামত করে সড়ক বিভাগ। আবার কয়েকদিন পরেই তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে শিগগিরই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে এমন আশার বাণী শোনালেন মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
মেহেরপুর-গাংনী-কুষ্টিয়া মহাসড়কটি যোগাযোগ কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল বহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি খানাখন্দে ভরে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে সড়কটির পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদেই এক রকম ঝুঁকি নিয়েই যান চলাচল করে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে গাংনী থেকে খলিসাকুণ্ডি পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। গেল দু’বছর কোনো সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। মাঝে মাঝে সড়কটি মেরামত করে সড়কবিভাগ। আবার কয়েকদিন পড়েই রাস্তার পিচ পাথর উঠে যায়। যাত্রি পরিবহণ ছাড়াও মূমূর্ষ রোগী নিয়ে যেতে চরমভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসি। সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় অনেক সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে। সামান্য বৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়।
যানবাহনের চালকরা তাদের নানা দুর্ভোগের কথা জানিয়ে বলেন, মাঝে মধ্যে গাড়ির টায়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তার পাশে উল্টে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। অনেক সময় গাড়ির গ্লাস খুলে পড়ে যায়। অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মালেক জানান, রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় রোগি নিয়ে চলাচল করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় তাড়াতাড়ি রোগিতে হাসপাতালে নিতে না পারলে রোগির মৃত্যু ঘটে। রাস্তাটি প্রশস্ত করা হলে সমস্যার সমাধান হবে ও দুর্ঘটনা কমে যাবে।
মেহেরপুর সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম সড়কটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটির বিভাগীয় ভাবে মেরামত করছে। পাশাপাশি প্রশস্ত করণের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা একনেক এ অনুমোদন হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে হয়তো কাজ শুরু হবে।