ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙনের শঙ্কায় ইছামতির বেড়িবাঁধ

ভাঙনের শঙ্কায় ইছামতির বেড়িবাঁধ

বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত না হলে অনেকের ভাগ্য খোলে না। তাই ভেঙে যাওয়ার আগে কাজও শুরু হয়না। নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কোনাভাবেই থামছে না: আল ফেরদাউস আলফা , সদস্য সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর ভাতশালা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙনের উপক্রম হয়েছে। জরুরি সংস্কার করা না হলে বাঁধভেঙে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে ভাঙছে দেবহাটার ইছামতি নদীর ভাতশালার বেড়িবাঁধটি। এতে বেড়িবাঁধের এক-তৃতীংশ ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। পানির প্রবল ঢেউয়ে বালির বস্তা ধসে পড়ে ভাঙছে নদীর পাড়। যে কোনো মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন  স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, বছর বছর নদী ভাঙনের কারণ খুঁজতে বেরিয়ে আসে অবাধে নদী থেকে বালু উত্তোলনের চিত্র। ইছামতি থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলের কারণে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এছাড়া উত্তোলনকৃত বালু বেড়িবাঁধ ঘেঁষে ফেলা রাখায় বালুর চাপে বেড়িবাধ দূর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া নদীর মূল বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উত্তোলন ও নদীতে ঠেলা জাল নদী ভাঙনের প্রধান অন্তরায়। পাশাপাশি ভাতশালা, উত্তর কোমরপুরসহ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত এ বাঁধ সংস্কার করলে স্বল্প ব্যয়ে মেরামত করা যাবে। বেড়িবাঁধটি পুরোপুরি ভেঙে গেলে পানির স্রোতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হবে।

স্থানীয়রা আরও জানায়, কয়েকমাস আগে বেড়িবাঁধের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে বালুর বস্তা স্থাপন করার কথা থাকলেও সঠিক তদারকির অভাবে  কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে দেবহাটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সাইদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে জানার পর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। উপর মহলের নির্দেশনা না দিলে কিভাবে কাজটি সংস্কার করবো। নির্দেশনা পেলে অতি দ্রুত সংস্কার করা সম্ভব হবে।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি। বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত না হলে অনেকের ভাগ্য খোলে না। তাই ভেঙে যাওয়ার আগে কাজ শুরু হয়না। এতে নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কখনোই থামছে না।

দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের আগেও বলেছি। সংস্কারের জন্য আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে আবারো জানাবো।

দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান বলেন, অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী।

সংবাদটি শেয়ার করুন