ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাদশার চা চুমুক দিয়েছেন কি?

গাজীপুরের কাপাসিয়া তুলায় সুদিন ফিরছে চরে
  • টক-ঝাল-মিষ্টিসহ ৪৮ রকমের চা বিক্রি
  • ভিন্ন স্বাদের চা’পানে ভিড় বাড়ছে
  • প্রতিদিন বিক্রি ৮-১০ হাজার

বাহারি রকমের চায়ে মনের পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে

চা বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায়। যা চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। যদি সেই চা হয় টক-ঝাল-মিষ্টিসহ ৪৮ রকমের। নরসিংদীর মাধবদী বড় মসজিদ রোডে বাহারি চায়ের দোকানটি লোকমুখে বাদশা ভাইয়ের চায়ের দোকান নামে পরিচিত। বাহারি রঙের চায়ের স্বাদ পেতে প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন চা প্রেমীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, টক-ঝাল-মিষ্টিসহ ৪৮ রকম বাহারি চায়ের দোকানে বসে বসে চা খাচ্ছেন বেশ কয়েকজন। তারা জানান, অন্য সব চায়ের দোকান থেকে বাদশা মিয়ার ব্যতিক্রম এ চা খেতে আসেন প্রতিদিন। সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত চা বিক্রি করলেও সবচেয়ে চা বিক্রি হয় সন্ধ্যার দিকে। বর্তমানে চায়ের দোকানটি সবার নজর কেড়েছে। ব্যতিক্রম এ চায়ের দোকানটি উদ্যোক্তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনান ইভান। রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানে চা পান করে শখের বশে বছর খানেক আগে নিজ এলাকায় চালু করেন চায়ের দোকান। বাহারি স্বাদের এসব চা বিক্রি হয় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত পর্যন্ত। প্রতিদিন বিক্রি হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার চা। এখানে সিলেটি রঙ চা, দুধ চা, গ্রীন চা, মালাই চা, কামঙ্গা ঝাল চা, আলু বোখরার চা, মাল্টা চা, মাইলো দুধ চা, মালটোবা দুধ চা, বনভিটা দুধ চা, মরিচ চা, বিট লবন চা, আদা দুধ চা, কালিজিরা দুধ চা, তুলসি চা, ভোস্টার দুধ চা, চকলেট এ্যারোমা চা, অর্জুনের চা, ত্রিফলা চা, মাসালা রং চা, ইন্ডিয়ান মালাই চা, তোরা কফি, ক্যাপাচিনিও কফি, বাদাম চা, জলপাই চা, তেতুল চা, স্ট্রবেরি চা, চকলেট দুধ চা, কাশমেরী দুধ চা, মধুর দুধ চা, কটবেল চা ও কাঁচা আমের ঝাল চাসহ ৪৮ ধরনের চা বানানো হয়। আর ৪৮ রকমের চায়ের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন চা প্রেমীরা। বাহারি স্বাদের এসব চা পান করতে হলে গুনতে হবে ১৫ থেকে ৫০ টাকা।

চা প্রেমীরা বলছেন, চা আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী। দিনের শুরুতে এক কাপ চা না খেলে কেমন যেন হাঁপিয়ে ওঠে শরীর। যদি সেইটা আবার হয় বাহারি রকমের চা, তাহলে কথাই নেই! মনের পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠবে। তবে দুধ-মালাই চা সবচেয়ে ভালো লাগে। যদিও এক কাপ চা ৫০টাকা তারপরও এই চায়ের প্রতি আমরা আসক্তি হয়ে পড়েছি। অন্যদিকে, কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকার কারণে চা পান করলে কফির তুলনায় কম ক্ষতি হয়। তাই তো কফিকে টাটা বাই-বাই বলে প্রতিদিন সকাল বিকাল এক কাপ চা পান করি।

বাদশা মিয়া চা মাধবদী শাখা দোকানের পরিচালক হাসান মিয়া বলেন, আমি রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় ৮ বছর ধরে বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করেছি। তারপর বাদশা ভাই মাধবদী শাখা দোকানে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেন। আর চায়ের দোকানের আয় থেকে আমার সংসার চালাচ্ছি।

বাদশা মিয়া চা মাধবদী শাখা দোকানের স্বত্বাধিকারী আদনান ইভান বলেন, আমাদের মাধবদী একটি শিল্প এলাকা। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা কালীন কিছু একটা করে পরিবারকে সহযোগিতা করার একটি স্বপ্ন ছিলো। সেই থেকেই শখের বসে সবকিছুর কথা চিন্তা করে বাদশা ভাইয়ের ৪৮ প্রকার চায়ের একটি শাখা চালু করি। এখানে বৈশিষ্ট্য অনুসারে, প্রতি কাপ চায়ের দাম ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। চায়ের স্বাদের ভিন্নতার কারনেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চা প্রেমিরা ভিড় করছেন এখানে। সবমিলিয়ে আমি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি। আমার লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি সংসারেও খরচ দিতে পারছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন