ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় লবণ পানি অপসারণ জরুরি

উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় লবণ পানি অপসারণ জরুরি

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে দেশের উপকূলের জনজীবনে সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই সংকট মোকাবিলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানির নিশ্চিয়তাসহ উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, অংশ নেন অধিপরামর্শ ফোরামের নির্বাহী সদস্য নিলীমা চক্রবর্তী, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবু সালাম খান, ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহআলম গাজী, সুপার আব্দুল মাজেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র মন্ডল, শিক্ষক নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, শিক্ষক মতিউর রহমান, শিক্ষক ওমর আলী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি জাফর মোল্যা, বাজার কমিটির সভাপতি রাধাপদ মন্ডল, সিআরজি দলের সভাপতি মুকুল বিশ্বাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় কৃষি জমিতে লবণ পানি উত্তোলন করে চিংড়ি চাষ করায় দিন দিন কৃষি জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফসল চাষের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। কয়রা উপজেলায় লবণ পানির চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৪ হাজার ২০০টি, যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর। লবণ পানির চিংড়ি ঘেরে বেড়িবাঁধ কেটে এবং পাইপ বসিয়ে লবণ পানি উত্তোলন করে। এতে বাঁধকে আরও বেশি দুর্বল করে তুলছে। ফলে অল্প জোয়ারেও বেড়িবাঁধ প্লাবিত হয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে জীব-বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে। মানুষ জীবন-জীবিকা হারিয়ে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে অথবা স্থানান্তরিত হয়ে অন্য জায়গায় বসতি স্থাপন করছে।

এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে সকল পোল্ডারে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনর্র্নিমাণ করতে হবে। উপকূলীয় মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন