গেলো বছর প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ইউরোপে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড বাংলাদেশিদের। তবে এর মধ্যে ৯৬ শতাংশ আবেদনই বাতিল হয়েছে।
কোনো দেশের নাগরিক নিজ দেশে বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক কারণে কেউ নির্যাতনের শিকার হলে অথবা কারো জীবন হুমকির মুখে থাকলে তিনি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতে সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারেন।
ইইউএএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের শেষের দিকে বেশিরভাগ আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। প্রথমবারের মতো আবেদন প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি ছিল।
ইইউএএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ২৭ হাজার ৩০০ জন আশ্রয় আবেদনকারী তাদেরকে ‘অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক’ হিসেবে দাবি করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ১৪০০ অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি আবেদন করেছে। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ১৭৪ শতাংশ বেশি। কিন্তু বাংলাদেশি মোট আবেদনকারীর হিসেবে ‘অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কের’ সংখ্যাটি মাত্র সাত শতাংশ।
২০২১ সালে বিভিন্ন দেশের প্রকাশিত প্রতিবেদনেও অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদনকারীদের তথ্য উঠে আসে
গত জুনে সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ইটালিতে পাড়ি জমানো ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অভিভাবকহীন’ অভিবাসীর সাড়ে ২২ দশমিক শতাংশই বাংলাদেশি। যাদের সংখ্যা এক হাজার ৫৫৮ জন। এটি ২০১৯ সালের তুলনায় ১৪ ভাগ বেশি।
আনন্দবাজার/টি এস পি