গাজা ইস্যুতে মিশর ও জর্ডানের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
বুধবার এই ঘোষণা আসে। এর একদিন আগে, ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় জর্ডানের রাজার। মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই নেতা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে মিশর ও জর্ডানের যৌথ অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা না হয়।’
জর্ডানের রাজকীয় আদালতের আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে তাদের ‘একতাবদ্ধ’ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
উভয় বিবৃতিতেই ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ অর্জনের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর আরব প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছে মিশর ও জর্ডান। এই পরিকল্পনায় গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে, যা দুই দেশই নাকচ করেছে।
ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করে, তবে তিনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজা আবদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অবিচল। এটি আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ মতামত।’
মিশর ঘোষণা করেছে, তারা চলতি মাসে আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন একটি ‘সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ উপস্থাপন করবে, যা ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমিতে টিকিয়ে রাখবে।
উল্লেখ্য, মিশর ও জর্ডান দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং বৈদেশিক সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। আমেরিকা তাদের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ।