ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পরেও গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে মানুষ ও সংবাদপত্র, ভোটের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। আমরা যেন এমন কিছু না করি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেটি নস্যাৎ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনভাবে কথা বলতে হবে। গত ১৫ বছর আমরা সবসময় ভয়ে ছিলাম কিছু লেখার জন্য, কখন আবার কারাগারে যেতে হয়। আজকেও এবিষয়ে কথা বলতে হবে আশা করিনি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরেও কথা বলতে হচ্ছে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ করার কারণে, যা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের লড়াই তো বাকস্বাধীনতা, মুক্ত মতপ্রকাশের জন্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু মানুষ জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে, মনে হচ্ছে তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবার এগুলো বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে, চেতনা নিয়ে ছাত্র–জনতা প্রাণ দিয়েছে তা ব্যর্থ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার যেকোন সরকার থেকে ভালো। সে যেই হোক, যেই আসুক। গণতন্ত্রের চর্চা হোক, চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে নিবো।
আনন্দবাজার/ জিলন