- করোনার আগের অবস্থায় ফিরে রেকর্ড
- নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসংস্থান প্রায় পাঁচ লাখ
- প্রবাস স্বাভাবিক থাকলে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাস
করোনার মহামারির মধ্যে স্থবির হয়ে আসা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুদিন ফিরে এসেছে আবারো। মহামারির মধ্যে গেল নভেম্বরে এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন বিদেশে গেছেন, যা ছিল দেশের জন্য রেকর্ড। পরের বছর ২০১৮ সালে সাত লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০১৯ সালে সাত লাখ কর্মী বিদেশে যান। কিন্তু মহামারির কারণে ২০২০ সালে বৈদেশিক কর্মসংস্থান থমকে যায়। ওই বছর মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার কর্মী বিদেশে যান।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের ১১ মাসে মোট চার লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৫ কর্মী বিদেশে গেছেন। নভেম্বরে এক লাখ ২ হাজার ৮৬৩ বিদেশগামী কর্মীকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিএমইটি। এই বছর সাড়ে পাঁচ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের হার কোভিডের আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এই প্রবাহ চলমান থাকলে একদিকে যেমন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে, তেমনি রেমিট্যান্স প্রবাহও ঊর্ধ্বমুখী হবে।
বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি জানান, মহামারির মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থানের ঘটনা খুবই ইতিবাচক। আমরা মনে করি, বিদেশগামীদের নিবন্ধন ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, কোয়ারেন্টিনের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর বসানো, প্রবাসীদের কোভিড পরীক্ষার খরচ দেওয়াসহ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দফতর, রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অর্জন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ বছর প্রায় ছয় লাখ কর্মী বিদেশে যাবেন। মহামারির মধ্যে এটি একটি অসাধারণ অর্জন হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মাসে যে কর্মীরা বিদেশে গেছেন তার মধ্যে সৌদি আরবেই গেছেন তিন লাখ ৭০ হাজার ১৪ জন (৭৬ শতাংশ)। এছাড়া ওমানে ৪০ হাজার ৮৬ জন, সিঙ্গাপুরে ২১ হাজার ৩৩৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ২৭৪ জন, জর্ডানে ১১ হাজার ৮৪৫ জন এবং কাতারে ৯ হাজার ৭২৮ জন কর্মী গেছেন।
আনন্দবাজার/শহক