মহামারির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৫ দিনে গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে নতুন রেকর্ড হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। প্রতি বছর রোজার সময় অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে। তারই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে তাদের ধারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রবাসীরা এ মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯ হাজার ৮০২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গত বছরের এপ্রিলের পুরো মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সেই হিসাবে ১৫ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বা ৫১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এই গতি অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, এপ্রিল মাস রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড হবে। প্রবাসীরা যেভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তাতে এই মাস শেষে ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠান। সামনে ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ উপলক্ষ্যে মাসের বাকি দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে। ঐ মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে। এছাড়া বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন এমন অনেক দেশে এখনো লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন।
আনন্দবাজার/শহক