ঢাকা | সোমবার
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মস্কোতে অন্য রকম পহেলা বৈশাখ উদযাপন

‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা নববর্ষকে আবাহন জানিয়েছিলেন এভাবেই। কিন্তু বাঙালির জীবনে গত বছরের মতো এবারও এসেছে অন্যরকম বৈশাখ। এ বৈশাখ উৎসবহীন- মলিন।

চারদিকে বাজছে মৃত্যুর বাজনা। হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রিয় মুখ। করোনা মহামারি বিশ্ববাসীর মতো বাঙালির জীবনও করেছে তছনছ। তবুও আজ আরও একবার পুরনো বছরের জরা-জীর্ণকে পেছনে ফেলে নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে বাঙালি।

তবে রাশিয়ার মস্কোতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সীমিত পরিসরে উৎসব আয়োজন করেছে সাব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অব রাশিয়া ও রাশিয়ান স্টেট এটমিক এনার্জি করপোরেশনে (রোসাটম)। সাব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অব রাশিয়ার সভাপতি আলমগীর জলিল রোসাটমের জেনারেল ডিরেক্টর সালকভ ইভগেনিকে আবাহমান বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে নৌকা উপহার দেন। অন্যদিকে রোসাটমের পক্ষ থেকে চমৎকার আয়োজনের জন্য আলমগীর জলিলকে ‘ধন্যবাদ’ চিঠি দেন সালকভ ইভগেনি। আড্ডা শেষে সবাই মিলে বাঙালি পিঠা, বাঙালি খাবার খেয়েছেন।

সাব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অব রাশিয়ার সভাপতি আলমগীর জলিল বলেন, বাঙালির জীবনে নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। সূচনা হলো বাংলা ১৪২৮ সালের। তবে আজকের এই বৈশাখ বাঙালির জীবনের গত বছরের বৈশাখের মতোই। করোনা মহামারির কারণে আমাদের জীবন অবরুদ্ধ আবারও। ঘরে বসে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে এবারও বাধ্য হচ্ছে বাঙালি। তবে রাশিয়া থেকেও বাঙালি সংস্কৃতিকে ভুলতে পারি না। সবসময় চেষ্টা করি নিজেদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে। তাই রাশিয়ার বন্ধুদের নিয়ে দিনটি কাটাতে চেষ্টা করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন