ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির দণ্ডের জন্য কনসাল জেনারেলকে দায়ী করলেন আইনজীবী

আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির দণ্ডে কনসাল জেনারেলকে দায়ী করলেন আইনজীবী

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে দণ্ডিত ৫৭ জনসহ অন্যদেশে আটকদের মুক্তির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ওই বিক্ষোভ করেন। পরে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট অব আপিল ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।

এ বিষয়ে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানান, তখন (দূতাবাসের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুবাইর কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছেন এরা সন্ত্রাসী, (প্রবাসী আন্দোলনকারীরা) এরা স্বাধীনতাবিরোধী, এদেরকে অ্যারেস্ট করলে ওনাদের আপত্তি নেই। যার কারণে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তা দেয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক অ্যাম্বেসিতে চিঠি দিয়েছে এদেরকে (আন্দোলকারীদের) চুপ করাতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। তিনি আরও জানান, আমরা প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য উপদষ্টোসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি। ওনারা যেন রেমিটেন্স যোদ্ধার নিয়ে ব্যবস্থা নেন। আমরা দেশ থেকে লিগ্যাল সাপোর্ট দিবো।

তিনি আরও বলেন, দুবাইর যিনি কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন উনি সবচাইতে দায়ী ব্যক্তি। যিনি এই ৫৭ জনের দণ্ডের জন্য দায়ী। কোনো ধরণের লিগ্যাল সাপোর্ট দেননি। উনি ওদেরকে (আন্দোলনকারীদেরকে) স্বাধীনতাবিরোধী বলেছেন। এটা খুব ফেভারিট ডায়ালগ ছিল। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত শিবির, যদি দ্বিমত-পোষণ করতো তখন আপনি হয়ে যেতেন আরেক দলের ব্যক্তি। আপনি স্বাধীনতাবিরোধী। যখন মানবাধিকার কমিশনে ছিলাম তখন এ কথা আমি নিজেও শুনেছি। শুধু ৫৭ জনই নয়। আরও অধিক লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আনেকে জানেন না ট্রেস লেস হয়ে গেছে। শুধু আমিরাতে নয়, অন্যান্য দেশেও হয়েছে। আমাদের কাছে কিছু আত্মীয় স্বজন এসেছেন। যারা ৫৭ জনের মধ্যে পড়ছেন না। আমরা সব ধরণের সহায়তা দিবো। আমরা দুবাইতে স্বেচ্ছায় একটি চেষ্টা করছি। সরকার তার ব্যবস্থা অবিলম্বে নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন