ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস শেখ রাসেল

শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস শেখ রাসেল

স্বাধিকার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের সকল উল্লেখযোগ্য ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আত্মত্যাগ করেছে। শিশু রাসেলের সহজ-সরল জীবনের কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, পৃথিবীতে আর কোথাও যেন এ রকম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড না ঘটে। পৃথিবীর ইতিহাসে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর মতো বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসে বিরল বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ইতালির রোম রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিশু শেখ রাসেল বাংলাদেশের সব শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস আর অদম্য আত্মবিশ্বাসের অনুপ্রেরণা। উপস্থিত সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ছাড়াও জাতিসংঘের রোমস্থ অঙ্গসংস্থা এফএও-তে চলমান ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম’ এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এমপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, রাষ্ট্রদূত ও প্রধান অতিথির বক্তব্য, বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশু-কিশোরদের উপস্থাপনায় ‘শেখ রাসেল’ প্রদর্শন, দিবসটি উপলক্ষে প্রাপ্ত বাণী পাঠ এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এবং উপস্থিত সকলে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অতঃপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র এবং শিশু-কিশোরদের উপস্থাপনায় ‘শেখ রাসেল’ প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপস্থিত সবাইকে শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন