নানা অনিয়মের অভিযোগ এবং মালিক-শ্রমিকের মধ্যে শর্ত রক্ষা না করার কারণে যেকোনো সময় মাল্টার শ্রমবাজার হারাতে পারে বাংলাদেশ। বৈধভাবে এই দেশটিতে আসার পথ বন্ধ হলে ইউরোপে বাংলাদেশিদের প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে আসা নতুন শ্রমিকরা মাল্টা সরকারের নিয়ম সঠিকভাবে মানছেন না। তাই এ শ্রমবাজারটি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীনে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় অনেক বাংলাদেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত কোনো শ্রমিক বৈধভাবে আসতে চাইলে স্থানীয় মালিকের সাথে একটি কাজের চুক্তি নিশ্চিত করতে হয়। এরপর মাল্টা থেকে অনুমতিপত্র এলে সেই কাগজপত্র মাল্টা দূতাবাসে জমা দেওয়ার পর সব ঠিক থাকলে ভিসা দেওয়া হয়। মাল্টার দূতাবাস ভারতের নয়াদিল্লিতে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, কোনো বাংলাদেশি মাল্টা এসে থাকছেন না। কোনোভাবে মাল্টায় আসতে পারলে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। ফলে মাল্টা কোম্পানির মালিকপক্ষের সঙ্গে যে চুক্তি তা ভঙ্গ করছেন তারা। যে কারণে মালিকপক্ষ অনেকটা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি। পাশাপাশি শ্রমিক সংকটে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি।
এ ব্যাপারে গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান মো. খালেদ জানান, ইউরোপের মধ্যে একটি ভালো শ্রমবাজার হলো মাল্টা। এখানে বেতনও ভালো। কিন্তু অনেক দিন ধরে শুনছি মাল্টায় শ্রমিকরা এসে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যায়। এটি খুবই দুঃখজনক এবং ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আনঅফিসিয়াল গত কয়েক বছরে মাল্টা সরকার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার ভিসা দিয়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার শ্রমিক ইউরোপের অন্য দেশে চলে গেছে। তারা কয়েক মাস কাজ করে এর পর চলে যায় অন্য দেশে।
আনন্দবাজার/টি এস পি